কলকাতা: গরুপাচারকাণ্ডে এবার বিনয় মিশ্রর আরও একটি ফ্ল্যাটের হদিশ পেল সিবিআই। গতকাল রাতেই কৈখালির ওই ফ্ল্যাটে হানা দেন সিবিআই অফিসাররা। চাবি না পেয়ে, ফ্ল্যাটটি সিল করে দেন তাঁরা। পরে ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
গরু পাচারকাণ্ডে ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্রর বাড়িতে বৃহস্পতিবার তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। রাসবিহারী ও চেতলায় ওই ব্যবসায়ীর ২টি বাড়িতে আজ হানা দেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, গরু পাচারের বেআইনি কারবারের টাকা বিনয় মিশ্রর মাধ্যমে প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছোত। একাধিক সাক্ষীর বয়ানে ওই ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি।
তবে আজ তল্লাশি অভিযানের সময় বিনয়কে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই। ওই ব্যবসায়ীর রাজনৈতিক পরিচয়ও রয়েছে।
তৃণমূল যুব কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বিনয় একজন। তাঁর বিরুদ্ধে আদালত থেকে সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে ওই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বিনয় মিশ্রর বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, কয়লা পাচারকাণ্ডে বৃহস্পতিবার হুগলির কোন্নগরের ২ ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান সিবিআইয়ের। অমিত সিং ও নবীন সিংয়ের বাড়িতে হানা দিয়েছেন সিবিআইয়ের অফিসাররা।
ওই দুই ব্যবসায়ী কয়লাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ব্যবসায়ী লালার ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি।
দুজনের বাড়িতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তবে লালা ঘনিষ্ঠ দুই ভাই অমিত সিং ও নীরজ সিং বাড়িতে না থাকায় পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা।
সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। পরে বেশ কিছু নথিপত্র নিয়ে যান গোয়েন্দারা। এদিকে, কয়লাকাণ্ডে এক মাস আগে দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি ও আয়কর দফতর।
এদিকে, গরুপাচারকাণ্ডে যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি প্রসঙ্গে ফের তৃণমূলকে নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, যারা কিংপিন এবং যারা অপারেট করে, তাদের নাম সবাই জানে। সিবিআই তদন্তে সত্য সামনে আসবে।