দার্জিলিং: দু’দিন আগে বিমল গুরুংয়ের বাহিনীর হাতে মৃত্যু হয়েছে এসআই অমিতাভ মালিকের। পেডং থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র ভান্ডার। রবিবারও পাতলেবাসে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছে চারটি বাড়ি।
আর পাহাড়ের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সেখান থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার, যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে সরাসরি সেই ক্ষোভের কথা জানানো হয়েছে।
পাহাড়ে এতদিন ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। তার মধ্যে সোমবার থেকেই ১০ কোম্পানি তুলে নেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
এদিকে কেন্দ্র যখন বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন রবিবারও পাহাড়ে জ্বলেছে আগুন। এদিন ভোরের দিকে পাতলেবাসে পরপর চারটি বাড়িতে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। দমকল এসে আগুন নেভালেও ততক্ষণে বাড়ি পুড়ে ছাই।
গুরুংয়ের একদা গড় পাতলেবাসে মোর্চা সভাপতির যে পার্টি অফিস ছিল, তার ঠিক উল্টোদিকেই এই বাড়িগুলি। সূত্রের দাবি, চারটি বাড়িই বিমল গুরুংয়ের অনুগামীদের। এই প্রেক্ষিতে পুলিশের অনুমান, বাড়িতে মজুত তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্যই আগুন লাগানো হয়ে থাকতে পারে।
তদন্তে এদিন ঘটনাস্থলে যান সিআইডি-র স্পেশাল সুপার অজয় প্রসাদ এবং উত্তরবঙ্গের এডিজি সিদ্ধিনাথ গুপ্ত। হঠাৎ করে কী করে বাড়ি গুলিতে আগুন লাগত খতিয়ে দেখছে পুলিশ।