দার্জিলিং ও কলকাতা: এসআই অমিতাভ মালিকের মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত পাহাড়। ইউএপিএ, রাষ্ট্রদ্রোহিতায় অভিযুক্ত বিমল গুরুংয়ের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। তার মধ্যে পাতলেবাসে চার গুরুংপন্থীর বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় মাথাচাড়া দিয়েছে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জল্পনা।
এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ের নিরাপত্তার জন্য ও উন্নয়নের কাজ জারি রাখার দাবিতে সোমবার রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন পাহাড়ের বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের (বিওএ) চেয়ারম্যান বিনয় তামাং।
রাজ্যপালের কাছে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবিও জানালেও, বিমল গুরুংকে তাতে ডাকার ক্ষেত্রে ঘোর আপত্তি তাঁদের। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে বিনয় তামাঙ্গ বলেন, আমরা রাজ্যপালকে দার্জিলিঙের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করেছি। সেখানে অস্ত্র উদ্ধার থেকে শুরু করে শান্তি স্থাপনের জন্য নেওয়া পদক্ষেপ সবিস্তারে ব্যাখ্যা করেছি।
তিনি জানান, তিনি রাজ্যপালকে অনুরোধ করেন দার্জিলিং পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে জানাতে। বলেন, রাজ্যপালকে জানিয়েছি, দার্জিলিং-ইস্যু নিয়ে আমরা কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে রাজি। তাঁর দাবি, গোর্খাল্যান্ড সহ যাবতীয় বকেয়া ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রের অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা উচিত।
সোমবার পাহাড় নিয়ে নবান্নে বৈঠকও রয়েছে। সেখানে বিনয়ের পাশাপাশি উপস্থিত থাকার কথা বিওএ-র উপাধ্যক্ষ অনিত থাপা ও মোর্চার কয়েকজন নেতার। এর আগে শুক্রবার অনিত থাপাকে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন বিনয় তামাঙ্গ। এপ্রসঙ্গে তিনি জানান, শুক্রবারের বৈঠক ছিল জিটিএ-র প্রতিনিধি হিসেবে। আগামীকালের বৈঠক মোর্চার প্রতিনিধি হিসেবে।
তবে, গত কয়েকটি বৈঠকে অংশ নেওয়া হরকাবাহাদুর ছেত্রীর দল জন আন্দোলন পার্টি জানিয়েছে, তারা এবারের বৈঠকে যোগ দেবে না। নবান্নের এই বৈঠকের আগে রবিবার দার্জিলিঙের দুই প্রান্তে দেখা গিয়েছে দুই ছবি।
চার গুরুংপন্থীরর বাড়িতে আগুন ঘিরে পাতলেবাস যখন থমথমে, তখন দার্জিলিং ম্যাল কিংবা চকবাজারে একেবারে ফুরফুরে মেজাজ। চকবাজারে দোকানবাজারে স্থানীয়দের কেনাকাটার ভিড়। ম্যালে দেখা মিলেছে ভিনদেশি পর্যটকদেরও।