পূর্ব মেদিনীপুর: বুধবারই খারিজ হয়ে গিয়েছিল পুলিশের আপত্তি। বিজেপির যুব সংগঠনকে শর্তসাপেক্ষে কর্মসূচির অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির মিছিলে পুলিশি বাধা ঘিরে ধুন্ধুমার বাধল! মিছিলকারীদের ওপর লাঠি চালাল পুলিশ!
ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার এই কর্মসূচির পোশাকি নাম ‘প্রতিরোধ সঙ্কল্প অভিযান’। বাইক মিছিলের রুট, কাঁথি থেকে কোচবিহার। বৃহস্পতিবার সকালে নিউ দিঘা যুব আবাসের সামনে বাইক নিয়ে জড়ো হন কয়েকশো বিজেপি যুব কর্মী। বক্তৃতা দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল এবং বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি দেবজিৎ সরকার। জানিয়ে দেন, মিছিল আটকালে ভাল হবে না।

এরপর সমুদ্র থেকে ঘটে করে জল নিয়ে আসা হয়। মিছিল শুরুর জন্য উদ্যোগী হয় বিজেপির যুব সংগঠন। কিন্তু যুব আবাস মোড়েই ব্যারিকেড দিয়ে দেয় পুলিশ! তারা জানায়, সরকার ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে। মামলার ফল জানার পরই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে। এরপরই পারদ চড়তে শুরু করে! দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তুমুল বিতণ্ডা! তারপর ধস্তাধস্তি।
এরপর বিক্ষোভরত কর্মী সমর্থকদের সরিয়ে নিয়ে যান বিজেপির যুব নেতারা। বদলানো হয় কৌশল। একদল চলে যায় ওড়িশা সীমানার দিকে, আরেকটি দল যায় দিঘা বাইপাসের দিকে। পড়ে থাকে পুলিশি ব্যারিকেড! দুপুর মিছিল যখন বাজকুলে, তখন তা আটকে দেয় ভূপতিনগর থানার পুলিশ। শুরু হয় নাকা চেকিং, বাইকের নথি পরীক্ষা। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ শুরু করেন বিজেপির যুব কর্মীরা। পুলিশ বারবার অবরোধ তুলতে বলে। কিন্তু অনড় ছিল বিক্ষোভকারীরা। এরপরই শুরু হয় লাঠিচার্জ।
বিজেপির যুব সংগঠনের মিছিল ঘিরে এদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরুলিয়াও। গোঙাবাড়িতে ৫ নম্বর রাজ্য সড়কে মিছিল আটকায় পুলিশ। বচসা চলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। শেষমেশ বাইক থেকে পতাকা খোলার পর, মিছিলের অনুমতি দেয় পুলিশ। বিকেলে অবশ্য হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও বিজেপির যুব শাখার মিছিলকে শর্তস্বাপেক্ষে অনুমতি দেয়।