পূর্ব বর্ধমান: অন্ধকার শ্মশানে বসে কালীপুজো করছেন এক তান্ত্রিক। সামনে বসে আট শিশু। পাশের ব্যাগে রাখা খাঁড়া।
এই দৃশ্য দেখেছিলেন বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। তারপরই মুখে মুখে গ্রামজুড়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, কালনার নারকেলডাঙা শ্মশানে নরবলি হতে চলেছে। আর সেই গুজব ঘিরেই বৃহস্পতিবার রাতে রীতিমতো ধুন্ধুমার বাধে এলাকায়। আক্রান্ত হয় পুলিশ।
পূর্ব বর্ধমানে কালনার নারকেলডাঙা এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এবারই প্রথম সেখানকার শ্মশানে কালীপুজোর আয়োজন করেন এক তান্ত্রিক। স্থানীয়দের দাবি, রাতে তারা শ্মশানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখেন, তান্ত্রিক পুজো করছেন।
পাশে বসে আট শিশু এবং কয়েকজন পুরুষ মহিলা। পাশে একটি ব্যাগে রাখা খাঁড়া। এরপরই গ্রামজুড়ে গুজব ছড়ায় যে, এখানে নরবলি হবে। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমরা দেখছিলাম বাচ্চারা বসে আছে। সন্দেহ হয় বলি দেবে।
নরবলির গুজব ছড়াতেই, শ্মশানে ভিড় করেন গ্রামবাসীরা। তান্ত্রিককে ঘিরে ধরেন তাঁরা। ততক্ষণে পুলিশও সেখানে পৌঁছোয়। তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই তান্ত্রিক-সহ উপস্থিত শিশু ও অন্যদের নিয়ে থানার উদ্দেশে রওনা দেয়।
কিন্তু, থানায় পৌঁছনোর আগেই পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বদ্যিপুরের কাছে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী পুলিশের ভ্যান ঘিরে ধরে। অভিযোগ, তান্ত্রিককে ছিনিয়ে নিয়ে তারা মারধর শুরু করে। আটকাতে গেলে পুলিশকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয়দের মারে পাঁচজন পুলিশকর্মী আহত হন। এই ঘটনায় রাতভর তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ৪৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।