কয়েন গিলে ফেলেছিল দেড় বছরের শিশু। তার এক্স রে করাতে বাবা-মাকে পাঁচ ঘণ্টা ধরে ছুটে বেড়াতে হল তিনটি সরকারের হাসপাতালে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের এই ঘটনা ফের প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে সরকারি হাসপাতালের পরিষেবাকে।


দেড় বছরের শিশুর গলায় আটকে কয়েন, তা-ও এক্স রে করতেই লেগে গেল প্রায় পাঁচ ঘণ্টা।তিনটি সরকারি হাসপাতালে ঘুরে তারপর শেষমেশ হল এক্স রে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের এই মারাত্মক ঘটনাই ফের প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে সরকারি হাসপাতালের পরিষেবাকে। তালদির বাসিন্দা রঞ্জিত মণ্ডলের দেড় বছরের শিশুকন্যা বৃষ্টি রবিবার খেলতে খেলতে একটি কয়েন গিলে ফেলে। মেয়েকে কোলে নিয়ে

ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ছোটেন তার মা।  চিকিৎসক শিশুটির এক্স রে করাতে বললেও, হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়ে দেন, যন্ত্রে সমস্যা রয়েছে, তাই এক্স রে করা যাবে না। এরপর বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।  কিন্তু, পরিবারের দাবি, সেখানেও কর্মীরা জানিয়ে দেন, যন্ত্রে সমস্যা থাকায় এক্স রে করা যাবে না।  তাই শিশুটিকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

শিশুটি কয়েন গিলেছিল সন্ধে সাতটায়। ন্যাশনাল নেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক্স রে হয় রাত পৌনে বারোটায়। অর্থাৎ প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর।

তাও তিনটি সরকারি হাসপাতালে ঘোরার পর। শেষমেশ শিশুটির পেটে কয়েন মেলেনি। চিকিৎসকরা জানান, বমি করতে গিয়েই সেটি বেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, তা-ও ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল ও বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের ভূমিকায় শিশুর পরিবার রীতিমতো ক্ষুব্ধ।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন,  এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। যন্ত্রে যে সমস্যার কথা বলা হচ্ছে, সেটা বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে থাকার কথা নয়। সুপারের কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছি। এরকম ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না হয়, সেজন্য প্রত্যেককে সতর্ক করছি।