কলকাতা: প্রথমে বিজেপির চিকিৎসক নেতা দিলীপ ঘোষ...তারপর বিজেপির মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক জুহি চৌধুরী। শিশু পাচারকাণ্ডে একের পর এক দলের নেতা-নেত্রীর নাম জড়ানোর পর চরম অস্বস্তিতে বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটে বিস্ফোরক বিজেপি নেতা কৃশানু মিত্র। দলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে চিঠি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের সঙ্গেই আপনার ওঠাবসা। যাঁরা শিশু পাচারের মতো ঘটনায় জড়িত, চাকরির নামে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত, অবৈধ লেনদেনে জড়িত, অন্ধকার জগতের সঙ্গে যাঁদের যোগাযোগ, গরু পাচারের মতো ঘটনায় যাঁরা জড়িত, তাঁদেরই আপনার আশেপাশে রেখেছেন।
পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, এ সবই অবান্তর কথা। কৃশানুই আমার সবচেয়ে কাছে ছিলেন। তাহলে উনি কি শিশু পাচারকারী?

যদিও কৃশানু মিত্রের চিঠি নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, যে ইমেল আইডিতে চিঠি পাঠানোর কথা বলা হচ্ছে, সেটা আমার নয়। আমি কোনও চিঠি পাইনি।
শিশু পাচারকাণ্ডে বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীর নাম জড়ানোর পরপরই কৃশানু মিত্রর এই চিঠি প্রকাশ্যে আসায়, বিজেপির অস্বস্তি আরও বাড়ল বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।

এরই মধ্যেই বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীর বিষয়ে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে সিআইডির। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় জলপাইগুড়ির হোমের কর্ণধার ধৃত চন্দনা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তাঁর শিশু পাচারের ব্যবসার অংশীদার হতে চেয়েছিলেন জুহি চৌধুরী। এমনকী ওই বিজেপি নেত্রীর একটি দত্তক কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা ছিল বলেও সিআইডি সূত্রে দাবি।
কিন্তু, দিনের পর দিন কীভাবে সবার নজর এড়িয়ে চলছিল শিশু পাচার? ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগে জলপাইগুড়ির জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিককে শোকজ করেছেন জেলাশাসক।