জলপাইগুড়ি: মাস খানেক আগে জলপাইগুড়ি শিশুপাচারকাণ্ডের ঘটনা সামনে আসার পর রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় ওঠে। গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীকে। মঙ্গলবার সেই জলপাইগুড়ি থেকেই শিশুপাচার রুখতে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই জঘন্য কাজ কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না। যেই জড়িত হোন, বরদাস্ত করা হবে না।
জলপাইগুড়ি শিশুপাচারকাণ্ড নিয়ে বারবারই অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। গতমাসে শিশুপাচারে ধৃত হোম কর্ণধার চন্দনা চক্রবর্তীর মুখে শোনা যায় রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নাম। শিশুপাচার নিয়ে তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হসে তিনি বলেছিলেন, আমার সঙ্গে কারও কথা হয়নি। জুহি চৌধুরীর কথা হয়েছে। জুহি চৌধুরী হয়তো রূপা গাঙ্গুলি আর কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে কথা বলেছেন।
জলপাইগুড়ি শিশুপাচারকাণ্ড নিয়ে ঝড় উঠেছে সংসদেও। কংগ্রেস সাংসদ রজনী পাটিল আক্রমণ করেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। বলেন, একজন কক্ষে বসে আছে। আরেকজন বিজেপির মধ্যপ্রদেশের নেতা।

বিজেপি প্রথম থেকেই এই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাতে অবশ্য বিরোধীরা বসে নেই। এই প্রেক্ষাপটে, জলপাইগুড়িতে গিয়ে শিশুপাচার রুখতে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিলেন, বাংলাদেশ ও অসম সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে।
একদিকে শিশুপাচার রুখতে বার্তা, আরেকদিকে মুখ্যমন্ত্রীর জেলার স্বাস্থ্য দাওয়াই। বলেন, অনলাইনেও অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে...জেলাশাসক ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রতি মাসে একবার করে বৈঠক করবে...নেওয়া যাবে না প্যাকেজের বাড়তি টাকা।
জেলাতেও বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলির একাংশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। কোথাও চিকিৎ‍সায় গাফিলতি, কোথাও ভুয়ো বিল, কোথাও আবার অপ্রয়োজনীয় টেস্ট। এ সব রুখতেই স্বাস্থ্য আইন তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। গড়া হয়েছে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনও। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন নির্দেশ দেন, জেলায় কোনও বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে, তা জানাতে হবে জেলাশাসককে। জেলাশাসক রিপোর্ট দেবে কমিশনকে।