কলকাতা: এবার সিআইডির জালে রাজশেখর পাইন। ধৃত খড়গপুর লোকাল থানার প্রাক্তন ওসি। সিআইডি সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার এক ব্যবসায়ীর দায়ের করা ৪৫ লক্ষ টাকা আত্মসাত্‍ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে রাজশেখরকে।
স্বরূপনগরের ব্যবসায়ী ইউনুস আলি মণ্ডলের দাবি, ২০১৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় পড়ে তাঁর দাদার গাড়ি। গাড়িতে ২টি ব্যাগে ছিল ব্যবসার ৪৫ লক্ষ টাকা। খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই উধাও সেই টাকা।
শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে দাসপুরের বৈকুণ্ঠপুরে, খড়গপুর লোকাল থানার প্রাক্তন ওসি রাজশেখর পাইনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিআইডি। রবিবার তল্লাশি হয় দাসপুরের রাধাকান্তপুরে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে।
সিআইডির দাবি, বিভিন্ন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারায় এদিন গ্রেফতার করা হয় রাজশেখরকে। ইতিমধ্যেই অন্য মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ভারতী ঘোষের দুই ঘনিষ্ঠ পুলিশ অফিসার ঘাটালের তৎকালীন সিআই শুভঙ্কর দে ও ঘাটাল থানার প্রাক্তন ওসি চিত্ত পালকে।
এদিন নবান্ন সভাঘরে জঙ্গলমহলের পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী ও ডিজি। বৈঠকে ছিলেন ৩৫৫ জন আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীও। সেখানে নাম না করে ভারতীকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, প্রাক্তন কোনও পুলিশ কিছু বললে কিছু শুনবেন না। এখন যারা আছেন তাদের কথা শুনি। সমস্যা হলে সরকারকে জানান।
অন্যদিকে, এদিন কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন ভারতী ঘোষের স্বামী এম এ ভি রাজু। বুধবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির সম্ভাবনা। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর-সহ একাধিক থানায় দায়ের মামলার ভিত্তিতে গ্রেফতারির আশঙ্কা থেকেই আগাম জামিনের আবেদন বলে খবর।