ঋত্বিক প্রধান ও বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যু তদন্তে তিন দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির দরজায় পৌঁছ গেল সিআইডি। দিব্যেন্দু অধিকারীকে সঙ্গে নিয়ে এ দিন শান্তিকুঞ্জে ভিডিওগ্রাফি করা হয়। এ নিয়ে ফের ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা। রাজ্যকে আক্রমণ করে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য 'সিআইডি পাঠিয়ে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই'।
বুধবারের পর শনিবার, প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফের শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির দরজায় পৌঁছে গেল সিআইডি। শনিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ শান্তিকুঞ্জে পৌঁছে যান সিআইডির আধিকারিকরা। রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, এ দিন অধিকারীর পরিবারের একজনকে তদন্তকারীদের সঙ্গে থাকতে বলা হয়। সেই মতো দিব্যেন্দু অধিকারীকে সঙ্গে ছিলেন। তাঁকে নিয়ে শান্তিকুঞ্জ এবং পুলিশ ব্যারাকের ভিডিওগ্রাফি করেন তদন্তকারী অফিসাররা।
শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি শান্তিকুঞ্জ থেকে মাত্র ৩০ মিটারের মধ্যে ব্যারাক। যেখানে ২০১৮-র ১৩ অক্টোবর গুলিবিদ্ধ হন শুভেন্দুর প্রাক্তন রক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী। এ প্রসঙ্গে সিআইডি আধিকারিক জানিয়েছেন, 'তদন্তের কাজে এসেছি, এর পরও প্রয়োজন হলে আসব, তদন্তে কোনও বাধা নেই, এখনও পর্যন্ত কেউ অসহযোগিতা করেননি।'
ফের সিআইডির তদন্তকারী দলের সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে তাঁর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ' তদন্তে সমস্তরকম সহযোগিতায় তৈরি। তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ' সিআইডি ১০০ বার আসতে পারে, তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে যতবার আসতে চান আসবে।'
এ নিয়ে ক্ষোভ যথেষ্ট ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, 'সিআইডি দেখিয়ে লাভ নেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর লোকেদের পাঠিয়েছেন, আমাকে ভয় দেখানোর দরকার নেই।' শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষীর গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন তুলে কাঁথি থানায় FIR করেছেন মৃতের স্ত্রী। সোমবার তদন্তভার হাতে নিয়ে মৃতের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সিআইডি। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অধিকারী বাড়ির দরজায় পৌঁছে গেলেন তদন্তকারীরা।