সনৎ ঝা, শিলিগুড়ি: ভ্যাকসিন নিয়ে দুর্ভোগের অভিযোগ এবার শিলিগুড়িতে। অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও ভ্যাকসিন না মেলায় কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বেশ কয়েকজন মহিলার। শেষে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে ভ্যাকসিন নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তরজা।


কেউ রাত তিনটে থেকে তো কেউ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভোর চারটে থেকে। করোনার ভ্যাকসিন পেতেই দীর্ঘক্ষণ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও ভ্যাকসিন মিলল না এদিন। এর জেরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রায় শতাধিক মহিলা। শিলিগুড়ি পুরসভা সূত্রে খবর, ১০ দিন ধরে সেখানে সদ্যোজাত থেকে ১২ বছর বয়সী সন্তানদের মায়েদের ভ্যাকসিনেশন চলছে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে। প্রতিদিনই ভ্যাকসিন নিতে স্টেডিয়ামে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই। ভ্যাকসিন নিতে আসা মহিলাদের অভিযোগ, সকাল দশটায় জানিয়ে দেওয়া হয়, ওষুধের দোকানের কর্মী ছাড়া এদিন আর কাউকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শতাধিক মহিলা।


স্থানীয় এক বাসিন্দা রীতা ঘোষ বলেন, 'আমরা ভোর থেকে দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের যদি আগে বলা হত তাহলে দাঁড়াতাম না। এভাবে হেনস্তার কোনও মানে আছে নাকি।' এদিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় বাতিল করে দেওয়া হয় ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি। ভয়ে পালিয়ে যান স্বাস্থ্যকর্মীরা। শেষে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।


আর এ নিয়েই রাজ্যের শাসকদলকে বিঁধেছে বিরোধীরা। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, '৭৫ শতাংশ ভ্যাকসিনই পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। অথচ সে সব নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে।' তবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য রঞ্জন সরকার বলেন, 'কেন্দ্র ভ্যাকসিন অনেক কম পাঠাচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে সেটাই দেওয়া হচ্ছে।  কোথাও কোথাও সমস্যা হচ্ছে ঠিকই। ভ্যাকসিনের জোগান ঠিকমতো হলেই সমস্যা থাকবে না।'


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ আসন্ন! তার আগে ভ্যাকসিন মিলবে তো? জনমনে প্রশ্ন এখন সেটাই। এরমধ্যেই এভাবে ভ্যাকসিনের আকাল কিন্তু চিন্তার বিষয় হয়ে উঠছে।