কলকাতা: যাদবপুরের মেধাবী প্রাক্তনী মিতা মণ্ডলের বাপের বাড়ির আর্জিতে সাড়া দিল রাজ্য সরকার। উলুবেড়িয়ার এই গৃহবধূর রহস্যমৃত্যুর তদন্ত শুরু করল সিআইডি।

রাজ্যের মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মিতা মণ্ডলের ঘটনার তদন্ত সিআইডি করবে।

সবরকমভাবে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ৬দিন ফেরার থাকার পরে গ্রেফতার করা হয়েছে মিতার দেওর রাহুলকেও। যদিও এখনও অধরা মিতার শাশুড়ি।.....এদিকে, মিতার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও অব্যাহত...পুলিশ সূত্রে খবর, ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী,ফাঁসে ঝুলেই মৃত্যু হয়েছে মিতা মণ্ডলের।

যদিও, প্রশ্ন উঠছে, যদি তাই হবে, তাহলে মিতার দেহে এইসব আঘাতের চিহ্ন, এবং এত রক্ত এল কোথা থেকে? সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের অনুমান, মৃত্যুর আগে ব্যাপক মারধর করা হয়েছিল মিতাকে!

শ্বশুরবাড়ির তরফে আত্মহত্যার তত্ত্ব খাড়া করার চেষ্টা হলেও তা ফের খারিজ করে দিয়েছে মিতার পরিবার। তাদের অভিযোগ করেছে, মিতাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে।

মিতাকে প্রথমে হাওড়ার যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানকার কর্তৃপক্ষের বক্তব্যও মৃত্যুরহস্যে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে!

পুলিশ সূত্রে খবর, মিতার স্বামী দাবি করেছেন, বাড়ি থেকে মিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সময় লেগেছিল এক ঘণ্টা।

বাস্তবে কিন্তু এতটা সময় লাগার কথা নয়।

এই পরিস্থিতিতে মিতা মৃত্যুরহস্যের বহু প্রশ্নের উত্তরই অধরা পুলিশের কাছে। অসঙ্গতিগুলি ঠিক কোথায়, তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে তারা। কে সত্যি বলছে? কে মিথ্যা? উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। এদিকে এরইমধ্যে পুলিশের হাতে একটি চিরকূট মিতার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তুলে দিয়েছে। তাদের দাবি, এটা মিতার সুইসাইড নোট! কিন্তু, আদৌ সেটা মিতার লেখা কি না, তা নিয়ে সন্দিহান পুলিশ। কারণ, প্রথম থেকে দাবি করলেও, এতদিন কোনও সুইসাইট নোট পুলিশকে দিতে পারেনি মিতার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।