কলকাতা: বাস, গাড়ি থেকে সরকারি দফতর, পাহাড়ে রোষের আগুনে পুড়েছে সবই। দফায় দফায় পুলিশ-মোর্চা সংঘর্ষ, আন্দোলনকারীদের মৃত্যু হয়েছে। রক্তাক্ত নিরাপত্তা বাহিনীও। পাহাড়ের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির নেপথ্যে জঙ্গি-যোগ রয়েছে বলে শনিবার দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যখনই পাহাড় মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে, তখনই এই তাণ্ডব। ডিপ রুটেড কনস্পিরেসি, মন্তব্য করেছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এদের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে। এরা রাজনৈতিক দল নয়। বিদেশি যোগ রয়েছে। পুলিশের কাছে তথ্য আছে। একদিনে এসব হয় না। একদিনে এত বোমা হয় না। বহুদিনের ষড়যন্ত্রের ফল। অনেক দিন ধরে অস্ত্র মজুত হচ্ছিল। ষড়যন্ত্রের শেষ হওয়া উচিত।

মুখ্যমন্ত্রীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁকে পাল্টা কটাক্ষ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। বলেন, উনি সব কিছুতেই ষড়যন্ত্র দেখেন!

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, পাহাড়ের অশান্তির নেপথ্যে বিদেশি শক্তিরও ইন্ধন রয়েছে। তাঁর বার্তা, দার্জিলিঙের ভৌগলিক অবস্থানের গুরুত্ব বিবেচনা করে, এ নিয়ে, কেন্দ্র-রাজ্যের একযোগে কাজ করা উচিত। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে বলব এদের যেন উৎসাহ দেবেন না। জঙ্গি মদত রয়েছে। আন্ডারগ্রাউন্ড। কেন্দ্র-রাজ্য একসঙ্গে কাজ করা উচিত। কেন্দ্রকে বলেছি ব্যবস্থা নিন। সময় হলেই রিপোর্ট দেব।

এদিকে, জঙ্গিযোগের অভিযোগ উড়িয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়িয়ে বিমল গুরুঙ্গের দাবি, গোর্খাদের ওপর যে অত্যাচার চলছে, তার কড়া জবাব দিতে হবে। সবাইকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রশাসনের বিরোধিতা করতে হবে।

মোর্চাকে আক্রমণের পাশাপাশি তাদের বনধ-অবরোধের রাজনীতি থেকে সরে আসারও বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মোর্চা অবশ্য বুঝিয়ে দিয়েছে, বনধের পথ থেকে তারা এখনই সরছে না। পাহাড়ের পর এবার তারা রবিবার ১২
ঘণ্টা ডুয়ার্স বনধের ডাক দিয়েছে। এর প্রতিবাদে আবার রাস্তায় নামছে আদিবাসী বিকাশ পরিষদ-সহ ২৩টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ।