বাঁকুড়া: পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ঠিক ছিল, সোমবার যাবেন। কিন্তু, আচমকা সেই সফরসূচিতে পরিবর্তন।রবিবারই বাঁকুড়া সফরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।রবিবাসরীয় দুপুরে হেলিকপ্টারে বাঁকুড়ায় মুকুটমণিপুরে পৌঁছন তিনি।


হেলিপ্যাডে সেখান থেকে গাড়িতে করে যান সেচ দফতরের অধীন কংসাবতী ভবনে। বাঁকুড়ায় একাধিক কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।

২৩ তারিখ সোমবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় সিধোকানু ময়দানে করবেন প্রশাসনিক জনসভা।

২৪ তারিখ মঙ্গলবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠক।

তার আগে মঙ্গলবারই করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

২৫ তারিখ বুধবার দলীয় জনসভা করার সম্ভাবনা ।খাতড়ায় সিধোকানু ময়দানের প্রশাসনিক জনসভা ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে।

মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন,মুখে কালি লেগেছে। দলের সাংসদ-বিধায়করা নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করছে। তাই মমতাকে দৌড়ে বেড়াতে হচ্ছে।

পাল্টা উত্তর দিয়েছে তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, দিলীপবাবু আগে নিজের দলের কোন্দল সামলান।

দু’পক্ষকেই একযেগে আক্রমণ করেছে সিপিএম। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবিন দেব বলেছেন,<মুখ্যমন্ত্রী সফরে যাবেন। এর মধ্যে দিলীপ বাবু আশ্চর্য় হচ্ছেন কেন। তাঁরাও তো কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জেলায় জেলায় পাঠাচ্ছেন। তৃণমূল-বিজেপি দুই দলের পায়ের তলার জমি নেই। তাই জেলা সফরে ছুটছেন।

বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে একুশের বিধানসভা ভোট। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে, বাঁকুড়া জেলার ১২টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১২টিতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি।

এই প্রেক্ষিতে চলতি মাসে ৫ তারিখ বাঁকুড়া সফরে যান বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সেখানকার সভা থেকে ২০০ আসনের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন তিনি। এবার একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে বাঁকুড়ায় পা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।