কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে বার বার সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে তুলে ধরেছেন বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প খাতে রাজ্যের কত বকেয়া। বছর শেষের মুখে নবান্নে দাঁড়িয়েও কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের পাওনার খতিয়ান তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রের থেকে পাওনা রয়েছে ১৩ হাজার ৭১৪ দশমিক ৩২ কোটি টাকা। ৪০ হাজার টাকা দেনা শোধ করেও এ বছর ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত আমরা এই টাকা পাই।
সোমবার নবান্নে রাজ্য স্তরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই প্রকল্প ধরে ধরে দাবি করেন, কেন্দ্রের থেকে রাজ্যের পাওনা কত। মুখ্যমন্ত্রী বলেন--
১০০ দিনের কাজ (নারেগা) - ১ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা।
এনডিআরএফ - ৪ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা।
স্বচ্ছ ভারত মিশন - ৭০০ কোটি টাকা।
বিআরজিএফ স্পেশাল - ২ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা।
শিক্ষকদের বেতন - ২ হাজার কোটি টাকা।
গ্রামে পানীয় জল প্রকল্প - ৪০০ কোটি টাকা।
সবার জন্য বাড়ি - ৪৫৯ কোটি টাকা।
ন্যাশনাল আরবান লাইভলিহুড মিশন - ৯৪ কোটি টাকা।
কোচবিহারে ছিটমহল হস্তান্তর - ৫৯০ কোটি টাকা।
রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা - ১১৭ কোটি টাকা।
অন্যান্য - ৬৬৬.৭৫ কোটি টাকা।
মোট পাওনা - ১৩ হাজার ৭১৪ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা।
পাল্টা সুর চড়িয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, রাজ্য সরকারই ঠিক মতো করে খরচের হিসেব কেন্দ্রকে দেয় না। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, রাজ্য ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেয় না।
বছর গড়ালেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে নানা ইস্যুতে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে সংঘাত চলছে। এবার রাজ্যের পাওনা নিয়েও দুই শিবিরের তরজা তুঙ্গে।