কলকাতা: উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘রাজ্যপাল এখন কেন উত্তরবঙ্গে গেলেন? আমি এরকম রাজ্যপাল আগে কখনও দেখিনি। রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে ৩টি চিঠি লিখেছি। জিটিএ নিয়ে তদন্তের আগে আগে রাজ্যপালের সফরের তদন্ত হওয়া উচিত। কাদের নিয়ে গেছে,কত টাকা খরচ হয়েছে, সব তদন্ত হওয়া উচিত। দার্জিলিঙের উপর এত রাগ কেন? যা ইচ্ছে তাই করবেন, মেনে নেব না। উত্তরবঙ্গকে অশান্ত করতে জেনেবুঝে দার্জিলিঙে গেছেন রাজ্যপাল। শুধু বিজেপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যপাল। উত্তরবঙ্গকে ভাগের চক্রান্ত চলছে, এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করছেন রাজ্যপাল।’



এরপর রাজ্যপালকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জৈন হাওয়ালা মামলায় কে যুক্ত ছিলেন, চার্জশিটে নাম ছিল কিনা প্রকাশ করুন। যেভাবে টাকা-কমিশনকে কাজে লাগিয়ে ভোট, সবাই জানে। অফিসার, পর্যবেক্ষকদের বদলে রাজনৈতিক কমিশন ভোট করিয়েছে। ভুয়ো খবর ছড়িয়ে সোশাল মিডিয়ায় প্রচারের চেষ্টা চলছে।’


আজ ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘মানুষের জীবন নিয়ে যারা খেলে, তারা সন্ত্রাসবাদীদের চেয়েও ভয়ঙ্কর। রাজ্যে ২ কোটি ১২ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই করোনার ভ্যাকসিন পেয়েছে। ছবি দেখিয়ে যারা প্রতারণা করে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। ছবি কাজে লাগানো ঠকবাজদের কাজ। চোখের সামনে কে কী ব্যবসা চালাচ্ছে, সে বিষয়ে পুলিশ-পুরসভা দায়িত্ব এড়াতে পারে না। প্রতারককে যারা সাহায্য করেছে, তাদের কাউকেই ছাড় নয়। যারা প্রতারক, তারা বিজেপির থেকেও ইন্ধন পেয়েছে।’


মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা আক্রমণ করে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, ‘জিটিএ নিয়ে যে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, তার জবাব দিন। দুর্নীতি হলে কারা জড়িত, তার কেন তদন্ত হচ্ছে না?
রাজ্যপালের সফরের খরচ তদন্তসাপেক্ষ হলে, জিটিএ-তেও দুর্নীতি হয়েছে। জৈন হাওয়ালা মামলায় কী আছে, জিটিএ-র অভিযোগের তার কি উত্তর? জৈন হাওয়ালা মামলায় নাম জড়িয়ে একটা অন্যায়কে আড়াল করা যায় না। রাজ্যপাল যে অভিযোগ করেছেন, তা রাজ্যবাসীর অভিযোগ। রাজ্যপাল দুর্নীতিগ্রস্ত কিনা, তার জবাব রাজ্যপাল দেবেন।’