কলকাতা: নবান্নে তফশিলি জাতি-উপজাতি কাউন্সিলের বৈঠক। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারের গৃহীত একাধিক প্রকল্প ও কাজের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। সেইসঙ্গে আগামীদিনে কী কী কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে, সে কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের উন্নয়নে রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সেই সব প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন তফশিলি জাতি ও উপজাতিরা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তফশিলিদের জন্য দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ২৭০ টি মনসা থানের উন্নয়ন করা হয়েছে। পরম পূজা ও হুল দিবসে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু, হরিচাঁদ ঠাকুর, পঞ্চানন বর্মা,বীরসা মুণ্ডার জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ড. বি আর অম্বেডকরের নামে টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে।
হোস্টেল সংস্কার, পানীয় জলের ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট সহ তফশিলি এলাকায় ইতিমধ্যেই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, শূন্য পদে ১০ হাজার ২৪১জন তফশিলি সরকারি চাকরি পেয়েছেন। তফশিলি জাতির কর্মী সংখ্যা বেড়ে ১৯ শতাংশ হয়েছে। ২০১১-র তুলনায় যা অনেকটাই বেড়েছে।
তফশিলি জাতি ও উপজাতি পড়ুয়াদের জন্য স্বল্প সুদে শিক্ষা সংক্রান্ত ঋণের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। এছাড়াও মমতা বলেন, রাজ্যে তফশিলি দফতরের বাজেটও অনেকটাই বেড়েছে। ৪০ হাজারের বেশি তফশিলি জাতি ও উপজাতিকে মানুষকে ১ হাজার টাকা করে পেনশন দেওয়া হচ্ছে। দশ বছরে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষের কাছে জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুযোগ পাবে তফশিলি আদিবাসী পরিবার । ১০.৬৯ লক্ষ তফশিলি মানুষকে সরকারি প্রকল্পে বাড়ি দেওয়া হয়েছে। তফশিলি দুঃস্থদের জন্য আগামী ৩ বছরে ১০০ টি ইংরাজি মাধ্যম বিদ্যালয় তৈরি করা হচ্ছে। অলচিকি ভাষায় পাঁচ বছরে আরও ৬৫ টি স্কুল হবে। দেড় হাজার প্যারাটিচার নিয়োগ করা হবে। এছাড়া আরও অনেক স্কুল হবে। তফশিলি জাতি উপজাতির জন্য পাঁচ বছরে ২০ লক্ষ নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে।আগে যে মাটির বাড়ি রয়েছে, সেগুলি সংস্কার করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের উন্নতির জন্য সরকার সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে। তাঁদের জন্য বিভিন্ন কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।