মালদা: ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের প্রচার মালদা থেকে শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ভোটে তৃণমূলনেত্রী একাই দুশো পার করলেও, মালদা থেকে কিন্তু তাঁকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই মালদায় সরকারি সভা করলেন মমতা। তৃণমূলকে এবার পঞ্চায়েত ভোটে জেতানোর ডাক দিলেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস তো চিরদিনই মালদা-মুর্শিদাবাদ পেয়েছে। কিন্তু কিছুই করেনি। যা কিছু হয়েছে বরকতদার আমলে। এই সরকার এসে অনেক কিছু করেছে। পঞ্চায়েত ভোট আসছে। সুন্দর পঞ্চায়েত গড়ুন। যাতে মানুষকে ভাল ভাবে পরিষেবা দিতে পারি। মালদা অনেক দিন ধরেই বঞ্চিত। পুরসভা ও পঞ্চায়েত হাতে থাকলে তো পরিষেবা দিতে সুবিধা দিতে হয়।

মালদা জেলায় মোট ১২টি বিধানসভা আসন। এর মধ্যে ২০১৬’র ভোটে ৮টিতে জেতে কংগ্রেস। দু’টিতে সিপিএম। একটিতে বিজেপি। একটিতে জোট সমর্থিত নির্দল। মালদা জেলায় যে দু’টি লোকসভা কেন্দ্র, ২০১৪’র ভোটে সেই দুটিতেই জেতে কংগ্রেস। কংগ্রেসের গড় সেই মালদায় দাঁড়িয়েই, এবার পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে জেতানোর ডাক দিলেন মমতা। পাশাপাশি নিশানা করলেন মোদী সরকারকেও। বললেন, ব্যাঙ্কের টাকা লুঠ হচ্ছে। পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়ছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কেন্দ্র মানুষের দিকে ঘুরেও তাকাচ্ছে না। আমরা হিসেব চাই। এই সরকারকে হিসেব দিতে হবে। হিসেব চাই, হিসেব দাও। নইলে গদি ছেড়ে দাও।

এর পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, যাই দুর্নীতি হোক না কেন, আমরা প্রপারলি তদন্ত করব। এত তৎ‍পরতার সঙ্গে অ্যাকশন এর আগে কোনও দিন হয়নি।
মালদার সভা থেকে এ দিন বিগত সিপিএম সরকারকেও নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, সিপিএম ইচ্ছেমতো দেনা করে চলে গিয়েছে। ধার শোধ দিতে গিয়ে সব খরচ, উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে সমস্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে সিপিএম। সুজন চক্রবর্তী বলেন, সিপিএমের ৩৪ বছর এবং তার আগে যা ঋণ হয়েছে, তা তৃণমূল সরকার ৬ বছরে ছাপিয়ে গিয়েছে।

পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই এরকম আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ।