দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাড়ি ফেরার সময় কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ। টোটো চালকের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে, ছাত্রীকে গাড়িতে তুলে চম্পট। পরে উদ্ধার। অধরা অভিযুক্ত প্রেমিক। আটক ২ ভাই। শনিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থানার কামরাবাদ-মন্দিরতলায়।
রাত তখন সাড়ে ৯টা। আশুতোষ কলেজের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর দাবি, মন্দিরতলা থেকে টোটোয় করে বাড়ি ফিরছিলেন। চালক ছাড়াও টোটোয় ছিলেন কয়েকজন যুবক। একটু এগোতেই চালকের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তরুণীকে টোটো থেকে নামিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

তরুণীর দাবি, আগে থেকেই ওই জায়গায় দাঁড়িয়েছিল একটি সাদা বোলেরো। অভিযোগ, জোর করে সেই গাড়িতে তুলে নেওয়া হয় তাঁকে। রাতেই সোনারপুর থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তদন্তে নামে পুলিশ। ১৩ ঘণ্টার মধ্যে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ। সোনারপুর থানার তেমাথার একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় তরুণীকে। ক’দিন আগেই দিনেদুপুরে খাস তিলজলা থেকে এক যুবককে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। ২০ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অপহৃতের বন্ধু সহ তিনজনকে। এবারের অবরহণের অভিযোগ সোনারপুরে।

পুলিশ জানিয়েছে, অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করা গেলেও এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত। আটক করা হয়েছে তাঁর দুই ভাইকে। পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত ৮ বছর ধরে স্থানীয় যুবক প্রসেন রঙের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তরুণীর। পরিবারের অভিযোগ, সম্প্রতি অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তার জেরেই সম্পর্ক ছিন্ন করেন কলেজ ছাত্রী। অভিযোগ, প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে দেওয়াতেই শুরু হয় হুমকি দেওয়া। দিন দুই আগে খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে দাবি পরিবারের।

এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত এখনও ধরা না পড়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ছাত্রীর পরিবার। পুলিশের কাছে নিরাপত্তার দাবি করেছেন তাঁরা।