সন্দীপ সরকার, কলকাতা: রাজ্য জুড়ে লাগাতার বৃষ্টির মধ্যেই ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া নিয়ে উদ্বেগ। মশাবাহিত রোগ নিয়ে জেলাভিত্তিক সমীক্ষায় উদ্বেগের ছবি। ৮ জেলার ৮ পুরসভাকে সতর্ক করল স্বাস্থ্য দফতর।উদ্বেগের ছবি রিষড়া, আসানসোল, বজবজ, বাঁকুড়া, শিলিগুড়িতে। একই পরিস্থিতি সাঁইথিয়া, হাওড়া, বরানগরেও।
রিষড়ায় গত ৪ সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্ত ৯ জন। ৫টি পুরসভায় বিভিন্ন বাড়িতে মিলেছে মশার লার্ভা। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ৬টি পুরসভার ৫০ শতাংশ নর্দমায় মশার লার্ভা রয়েছে। ৮টি পুরসভায় ১০০ শতাংশ খালে মশার লার্ভা মিলেছে। মশাবাহিত রোগ ছড়াচ্ছে বাংলার বিভিন্ন জেলার গ্রামাঞ্চলেও। সমীক্ষার পর ৫টি জেলার ৪১ এলাকায় অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামকে ম্যালেরিয়া নিয়ে আলাদা করে সতর্ক করা হল। সতর্ক করা হল মালদা, পুরুলিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও পশ্চিম বর্ধমানকে। সমীক্ষায় ভর্ত্সনা করা হয়েছে, আসানসোল, দুর্গাপুর, শ্রীরামপুর, মধ্যমগ্রামকে সমীক্ষায়।
আরও পড়ুন: Malda: ফোন না থাকায় হয়নি যোগাযোগ, বেঙ্গালুরুতে মালদার যুবকের মৃত্যুতে রহস্য
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় প্রহর গুনছে রাজ্য। তার মধ্যেই বাড়ছে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের প্রকোপ। গত মাসে কালচিনির বাসিন্দা ষাট বছরের এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। বুধবার পিয়ারলেস হাসপাতালে মৃত্যু হয় ডেঙ্গি আক্রান্ত এক যুবকের।
বৃহস্পতিবার ডেঙ্গি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসে কলকাতা পুরসভা। পুরসভা সূত্রে খবর, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার দাপট সেরকম না থাকলেও, ৭ নম্বর বরোয় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কলকাতার মধ্য সবচেয়ে বেশি। ৪, ৫, ৬, ৭ নম্বর বরোতে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। জানুয়ারি থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই বরোগুলিতে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার জন।গত কয়েকদিন ধরেই হচ্ছে বৃষ্টি। এই পরিস্থিতিতে জমা জলে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মশা লার্ভা যাতে না জন্মায় সেদিকেও দেওয়া হচ্ছে নজর। এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়, মশা বাহিত রোগ প্রতিরোধে তথ্য সংগ্রহ ও নজরদারি বাড়ানো হবে। এজন্য ভ্যাকসিনেশনে কাজ করছেন যে কর্মীরা, তাঁদের একাংশকে এই কাজে নিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি, নজর রাখা হচ্ছে ফুটপাথবাসী থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপরে।