শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: বিদ্যুতের কাজ করতে এসে এভাবে প্রাণ হারাবেন, তা ভাবনার অতীত ছিল বিদ্যুৎকর্মীর। আচমকা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারালেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি বাড়িতে বৈদ্যুতিক কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির বলে জানা যায়। মৃত ব্যক্তির নাম মানস তালুকদার। বয়স ৪৭ বছর। তিনি মাথাভাঙ্গা ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে গোটা এলাকা জুড়ে। 


স্থানীয় বাসিন্দারা জানান দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তবে আজ ১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 


মৃতের দাদা তাপস তালুকদারের কথায়, "আমি খবর পাই ভাই বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়েছে। তাঁকে মাথাভাঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। খবর পাওয়া মাত্রই আমি হাসপাতালে ছুটে আসি এসে জানতে পারি বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।"


আরও পড়ুন, দেবীর নেই দশহাত-অস্ত্র, নেই মহিষাসুর, 'অভয়া' মূর্তিতে পূজিত হন বীরভূমের এই দুর্গা


এদিকে, বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে মালদা জেলার মোথাবাড়ি থানার রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়াগ্রাম এলাকায়। মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম কৈলাস চন্দ্র দাস। তাঁর পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী গীতা দাস আর এক ছেলে ও এক মেয়ে। বর্তমানে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার মোথাবাড়ি থানায় কর্মরত ছিলেন। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  তিনি সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করার  পাশাপাশি ইলেকট্রিক মিস্ত্রিও ছিলেন।


আজ সকালে নিজের গ্রামে অন্যে এক ব্যক্তির বাড়িতে ইলেকট্রিকের কাজ করতে  করতে যান। ইলেকট্রিকের কাজ করার সময় তিনি ছাদে উঠে ইলেকট্রিকের তার সারাই করছিলেন। সে সময় বিদ্যুতস্পৃষ্ট  হয়ে নিচে পড়ে যান। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে তাঁকে চিকিৎসার জন্য আনা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকেরা ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকস্তব্ধ মৃত সিভিক ভলান্টিয়ার পরিবার সহ গোটা গ্রামে।