নয়াদিল্লি: তৃতীয় থেকে অষ্টম দফার ভোটের জন্য দিল্লি থেকে ৩৪ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস।
কার্যত অস্তিত্ব রক্ষার এবারের ভোটে, দলের সেই পুরনো রাজনৈতিক যোদ্ধাদেরই প্রার্থী করছে কংগ্রেস। দলবদলের মরশুমেও, যাঁরা মাটি কামড়ে, দল আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন। রবিবার ৩৪ আসনের যে প্রার্থী তালিকা দিল্লি থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে ১৯ জনই ২০১৬-র নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন।
রায়গঞ্জ আসনে প্রার্থী, বিদায়ী বিধায়ক তথা দাপুটে কংগ্রেস নেতা মোহিত সেনগুপ্ত। চাঁপদানি থেকে ফের লড়বেন বিদায়ী বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। মাটিগাড়া নকশালবাড়ি থেকে ফের প্রার্থী করা হয়েছে, উত্তরবঙ্গের আরেক প্রবীণ ও দাপুটে নেতা শঙ্কর মালাকারকে।
জলপাইগুড়ি থেকে ফের লড়ছেন বিদায়ী বিধায়ক তথা প্রাক্তন আইএএস অফিসার সুখবিলাস বর্মা। হাওড়ার আমতা থেকে ফের প্রার্থী হয়েছেন বিদায়ী বিধায়ক তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অসিত মিত্র।
বহরমপুর থেকে কংগ্রেস ফের প্রার্থী করেছে বিদায়ী বিধায়ক তথা অধীর ঘনিষ্ঠ মনোজ চক্রবর্তীকে। লালগোলা থেকে এবারও প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আবু হেনা।
বীরভূমের হাসন থেকে ফের একবার কংগ্রেস দলের যুব মুখ মিলটন রশিদকে প্রার্থী করেছে। ফরাক্কা আসনে মইনুল হক ও মালদার সুজাপুর আসনে গণি খান চৌধুরীর ভাইপো ইশা খানকেও ফের প্রার্থী করেছে কংগ্রেস।
এছাড়া দার্জিলিঙের ফাঁসিদেওয়া, মালদার চাঁচোল, হরিশ্চন্দ্রপুর, মালতিপুর, মানিকচক এবং মালদা বিধানসভা কেন্দ্র নিজেদের দখলে রাখতে বিদায়ী বিধায়কদের ওপরই ফের আস্থা রেখেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
পাশাপাশি, মুর্শিদাবাদের সুতি, রানিনগর ও ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রেও হাত শিবিরের ভরসা পুরনো মুখই। এদিকে, বর্তমানে বিধায়ক না হলেও আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে দলের পুরনো মুখ দেবপ্রসাদ রায়কে।
বড়ঞা থেকে প্রার্থী করা হয়েছে মুর্শিদাবাদের দাপুটে নেতা শিলাদিত্য হালদারকে। হাওড়ার শ্যামপুর থেকে প্রার্থী হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী।
প্রথম দু’দফার ভোটের জন্য ১৩ আসনে প্রার্থী-তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস। আজ সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন অধীর চৌধুরী ও আব্দুল মান্নান। সেখানেই ১৩ আসনে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হয় বলে সূত্রের খবর।
আগামী ২৭ মার্চ ও ১ এপ্রিল দু’দফায় ভোট রয়েছে রাজ্যে।