কলকাতা: জোটেই আস্থা রাখল হাইকম্যান্ড। প্রধান বিরোধী দলনেতা হিসেবে তারা বেছে নিল আব্দুল মান্নানকে, যিনি রাজ্যে তৃণমূল সরকার বিরোধী আন্দোলন এবং বাম-কংগ্রেস জোটের অন্যতম মুখ।
প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে খবর, গোপন ভোটাভুটিতে ৪৪ জনের মধ্যে অধিকাংশ কংগ্রেস বিধায়কই, পরিষদীয় দলনেতা পদে মান্নানের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন।
কিন্তু, কেন বিরোধী দলনেতা পদে মান্নান? প্রথমত, প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলীয় নেতৃত্ব মনে করছে, সারদাকাণ্ড-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূল সরকারবিরোধী আন্দোলনের গ্রহণযোগ্য মুখ হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছেন আব্দুল মান্নান।
দ্বিতীয়ত, অন্যান্য বিরোধী দলের কাছেও মান্নানের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। যা বিধানসভায় কক্ষ সমন্বয়ে সাহায্য করতে পারে। এই দিকটিও শীর্ষ নেতৃত্বে মাথায় রেখেছে বলে প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে খবর।

তৃতীয়ত, শুরু থেকেই জোটের অন্যতম প্রধান মুখ চাঁপদানির বিধায়ক আব্দুল মান্নান। সেই মান্নানকে বিরোধী দলনেতা করলে জোটের পক্ষে বার্তা দেওয়া যাবে।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, মান্নানকে দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে এ কথাও মাথায় রেখেছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।
পাশাপাশি, বিরোধী দলনেতা হওয়ার দৌড়ে থাকা মানস ভুইঁয়াকে দায়িত্ব দিলে অন্যরকম বার্তা যেতে পারত বলেও মনে করছেন অনেকে। কারণ, একসময় এই মানসই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি জোটের পক্ষে নন। সূত্র মারফত এ খবরও পাওয়া গিয়েছিল যে, রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বৈঠকে মানস বলেছিলেন, আমাদের একলা লড়াই করা উচিত।
তাছাড়া, ২০১১ সালে যখন কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট বেঁধে সরকার গড়েছিল, তখন মমতার শুরুর মন্ত্রিসভাতেও ছিলেন মানস ভুঁইয়া। পরে জোট ভেঙে যায়। মানসও মন্ত্রিত্ব খোয়ান। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, এ হেন মানস ভুঁইয়ার বদলে, আব্দুল মান্নানকে বিরোধী দলনেতা করে জোটের বার্তাই দিল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।