মুর্শিদাবাদ:  যাঁকে অপহরণের অভিযোগ তুলে মুর্শিদাবাদে আন্দোলনে নেমেছিল কংগ্রেস, সেই তিনিই প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর সামনে এলেন! অদশ্য হওয়ার আগে পর্যন্ত ছিলেন পাক্কা কংগ্রেসি! আর্বিভূত হওয়ার পর হয়ে গেলেন তৃণমূল!
গত দু’দিন ধরে জিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস সদস্য উত্তম সাহার খোঁজ মিলছিল না। অপহরণের অভিযোগ তোলে তাঁর পরিবার। দলীয় নেতার অন্তর্ধানের নেপথ্যে তৃণমূলের হাত থাকার অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করে কংগ্রেস। যদিও রবিবার দুপুরে হঠাৎই লালবাগে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে দেখা মেলে উত্তম সাহার! এরপরই জার্সি বদল।
দলত্যাগী কংগ্রেস নেতা উত্তম সাহা নিজ মুখে এদিন ঘোষণা করেন, আমি অপহৃত হইনি, এক আত্মীয়র বাড়িতে ছিলাম। উন্নয়নের স্বার্থেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর দাবি, অপহরণ করার পর চাপ দিয়ে উত্তম সাহাকে দলে টেনেছে তৃণমূল। ৪ দিন আগে তিনি আস্থা ভোটে কংগ্রেসের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এই ক’দিনে এমন কিছুই হয়নি, যে তিনি দলবদল করতে পারেন।
কংগ্রেসের অভিযোগ অস্বীকার করে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতির ছেলে সৌমিক হোসেনের পাল্টা দাবি, আমরা অপহরণের রাজনীতি করি না। কংগ্রেসই অপহরণের নাটক সাজিয়েছিল। উত্তম সাহা স্বেচ্ছায় তৃণমূলে এসেছে।
জিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির ২৪টির মধ্যে বামেদের ছিল ১৬টি এবং ৮টি আসন ছিল কংগ্রেসের। সম্প্রতি, ৭ কর্মাধ্যক্ষ-সহ বাম ও কংগ্রেস ১০ পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন।
এরপর দলত্যাগী ওই ৭ কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বাম ও কংগ্রেস। ১৪টি ভোট পেয়ে আস্থা ভোটে জিতে যায় জোট।
এরপরই কংগ্রেসর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য উত্তম সাহাকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে।