মালদায় নৃশংসভাবে খুন কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য! কলকাতা, আমডাঙায় ফের উদ্ধার তাজা বোমা! খেজুরিতে সিপিএম কর্মী খুনে গ্রেফতার ২।
মঙ্গলবার রাতে কালিয়াচকের নবীনগর গ্রামে বাড়ির কাছ থেকে স্থানীয় পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য সিরাজুল আলির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। পেশায় ব্যবসায়ী ওই কংগ্রেস নেতাকে তাঁর বন্ধু রুহুল শেখ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় বলে পরিবারের দাবি। এরপর থেকেই খোঁজ মিলছিল না সিরাজুলের। অভিযুক্ত রুহুলকে আটক করেছে পুলিশ। কংগ্রেসের কালিয়াচক এক নম্বর ব্লকের সভাপতি আব্দুল রহমানের অভিযোগ, শাসকদল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই খুনের সঙ্গে জড়িত।
যদিও তৃণমূল জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের পাল্টা দাবি, ব্যবসায়িক বিবাদের জেরেই এই খুন। দলীয় নেতা খুনে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার কালিয়াচক থানা ঘেরাও করে কংগ্রেস।
ভোট গণনার আগে অশান্তির আঁচ কলকাতাতেও! এদিন ট্যাংরার একটি ক্লাব থেকে ৮টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। ক্লাবটিতে জনা পঞ্চাশেক পড়ুয়া নিয়ে স্কুল চালায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বোমা উদ্ধারের পর কিছুক্ষণ পরেই এদিন স্কুলে আসে পড়ুয়ারা। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ক্লাবের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। কী কারণে ক্লাবে বোমা মজুত করা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙাতেও এদিন দু’ব্যাগ বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, বর্ধমানের ভাতারের মোহনপুরে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও গ্রেফতার হয়নি কেউ। অভিযোগ, সোমবার রাতে তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কয়েকজন সিপিএম সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। বোমাবাজি হয়। গুলি চলে বলেও সিপিএমের দাবি। ঘটনার পর পুলিশ এলেও, মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের ভাঙচুর ও বোমাবাজি শুরু হয় বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের দাবি, ভাঙচুরের সময় গ্রামের বাইরে দাঁড়িয়েছিল পুলিশ। হার নিশ্চিত জেনেই হামলা বলে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে সিপিএম ও তৃণমূল।