পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা: তৃণমূলেরই দখলে রইল দক্ষিণ কাঁথি। গতবারের চেয়েও বাড়ল ব্যবধান। ফের প্রমাণিত হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি মানুষের আস্থা অটুট রয়েছে, প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের।
২০১৬ সালে ৩৩ হাজার ৮৯০ ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। উপনির্বাচনের ফল এই ব্যবধানকেও ছাড়িয়ে গেল! তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান বেড়ে হল ৪২ হাজার ৫২৬!  দক্ষিণ কাঁথিতে আবারও জোড়াফুলের জয়জয়কার। ভোট শতাংশ এক লাফে অনেকটা বাড়িয়ে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেও, জামানত বাজেয়াপ্ত হল বাম ও কংগ্রেসের!

তৃণমূল প্রার্থী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর প্রাপ্ত ভোট ৯৫ হাজার ৩৬৯। বিজেপি প্রার্থী সৌরীন্দ্রমোহন জানা পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৪৩টি ভোট। তৃতীয় স্থানে থাকা সিপিআই প্রার্থী উত্তম প্রধান পেয়েছেন ১৭ হাজার ৪২৩টি ভোট। কংগ্রেসের নবকুমার নন্দ পেয়েছেন মাত্র ২ হাজার ২৭০টি ভোট।
দলের জয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অভিনন্দন জানাচ্ছি। মা-মাটি-মানুষকে কৃতজ্ঞতা। খুব ভাল ফল হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় বলেন, বাংলার মানুষ মমতার সঙ্গে আছে, ছিল থাকবে। ইঙ্গিতবাহী ফল। আগামী দিনেও ভাল করবে তৃণমূল।

২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ কাঁথিতে তৃণমূল পেয়েছিল ৫৭.১২% ভোট। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের, বিধানসভাওয়াড়ি ফলে, তা কমে হয়েছিল ৫১.৯১ শতাংশ। গত বারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছিল, ৫৩.৭২%। এবার সেটাই বেড়ে হয়েছে ৫৫.৮৯%। অর্থাৎ এক বছরেরও কম সময়ে অধিকারী পরিবারের গড়ে তৃণমূলের ভোট বাড়ল দুই শতাংশ।
দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা উপ নির্বাচনের ফল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে, তৃণমূলের মতোই বিজেপিকেও উজ্জীবীত করবে বলেই মত পর্যবেক্ষকদের। সেইসঙ্গে উদ্বেগ আরও বাড়ল বামেদের।