ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: কলকাতার দুটি সরকারি হাসপাতালে দেখা গেল ভ্যাকসিন হয়রানির ছবি। এনআরএসের ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের দাবি, কেউ এসেছেন রাত ৩টেয়, কেউ লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ভোর ৫টা থেকে। অভিযোগ, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় বাড়ছে হয়রানি। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালের তরফে মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, কলকাতা মেডিক্যালে রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও কুপন মেলেনি বলে অভিযোগ করেছেন ভ্যাকসিন গ্রহীতারা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে চায়নি।


দিকে দিকে ভ্যাকসিনের আকাল। চড়া রোদ্দুর কিম্বা ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতির জন্য তৃণমূল-বিজেপি একে অপরের সরকারকে দায়ী করছে। প্রচলিত পদ্ধতি অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকার উৎপাদক সংস্থার কাছ থেকে ভ্যাকসিন কিনে রাজ্য সরকারগুলিকে দেয়। তারা সেই ভ্যাকসিন বণ্টন করে। এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাওয়া যায়। এর বাইরে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে মানুষ গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে ভ্যাকসিন কিনতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফের ভ্যাকসিনের দরবার তৃণমূলের। বাংলায় টিকা পাঠান, বৈঠকে মোদির কাছে আর্জি জানিয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, দাবি তৃণমূল সাংসদের।


শূন্য থেকে ১২ বছর বয়সীদের মায়েদের দেওয়া হচ্ছে ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন দেওয়াকে কেন্দ্র করেই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে হয়রানির অভিযোগ উঠল। মায়েদের দাবি, প্রতিদিন কতজনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তা নিয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু না জানানোয় এই হয়রানি। লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও ভ্যাকসিন না নিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে। বাড়িতে ছোট ছোট সন্তানদের রেখে আসায় সাংসারিক সমস্যাও হচ্ছে বলে ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের অভিযোগ। পাড়া অথবা বাড়িতে গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


উল্লেখয, শহরে কোভিশিল্ড আকাল ফের তৈরি হয়েছিল আগেই। সঙ্গে রাজ্যজুড়েই ভ্যাকসিন সঙ্কট ছিল। সপ্তাহের শুরুতেই ফের রাজ্যে এল কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। বিকেল ৪টে ২৫ নাগাদ পুনে থেকে ইন্ডিগো বিমানে করে ভ্যাকসিন এসে পৌঁছয় কলকাতা বিমান বন্দরে। সেখান থেকেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা বাগবাজার স্টোরে নিয়ে যায় ভ্যাকসিনগুলি।