কলকাতা:  টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে রাজ্যের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কয়েকটি রাস্তা জলমগ্ন হয়ে থাকায় সম্পূর্ণ বন্ধ যান চলাচল। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে নদীর জল। জল জমেছে কলকাতার বেশ কয়েকটি রাস্তাতেও।



গতকাল রাতের ভারী বৃষ্টিতে বেহালার শীলপাড়া, পর্ণশ্রী, বীরেন রায় রোড, ঠাকুরপুকুর, কদমতলায় কোমর সমান জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। পুরসভার তরফে পাম্প চালিয়ে জল বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। জল জমে রয়েছে ঠনঠনিয়া, আমহার্স্ট স্ট্রিট, কলুটোলা রোড, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণী, খিদিরপুর,  একবালপুর ও গার্ডেনরিচের একাংশে।

টানা বৃষ্টিতে ঘাটাল, চন্দ্রকোণা, কেশপুর ও ক্ষীরপাই-এর বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। ঘাটাল-চন্দ্রকোণা রোডের উপর দিয়ে বইছে শিলাবতী নদীর জল। অন্যদিকে জল জমে থাকায় কেশপুর-মেদিনীপুর রোড এবং ক্ষীরপাই-আরামবাদ রোডে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। ঘাটালের বেশ কিছু রাস্তায় নৌকা চলছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, জলস্তর বেড়েছে শিলাবতী ও কাঁসাই নদীতে।

বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত লাভপুর। বেশ কিছু গ্রামে ঢুকেছে কুয়ে নদীর জল। তবে গতকাল রাতে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় নদীর জলস্তর কমেছে। এর মধ্যেই লাভপুরে বেশ কয়েকটি জায়গায় বাঁধ ভেঙে যায়। রাস্তা জলমগ্ন থাকায় সিউড়ির সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। আজ লাভপুরের প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।



প্রবল বৃষ্টিতে জলচ্ছ্বাস শুরু দিঘায় সমুদ্রে। কাঁথি, এগরা, হলদিয়া, পাঁশকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। তবে গতকাল বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কম হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে দাবি প্রশাসনের। সমুদ্র ও নদী তীরবর্তী এলাকায় নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে জেলা। সমস্ত ফ্লাড সেন্টারে সর্বক্ষণের জন্য সরকারি কর্মীদের রাখা হয়েছে। সমুদ্র বা নদীতে যাওয়ার ক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।