সমীরণ পাল, ব্যারাকপুর: কোভিড হাসপাতালের জন্য অক্সিজেন আনতে যাওয়ার পথে গাড়ি আটকানোর ঘটনায় বিতর্ক। আজ সকালে ব্যারাকপুরের বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালের জন্য অক্সিজেন আনতে যাচ্ছিল গাড়িটি। ব্যারাকপুরের তালপুকুর মোড়ে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে পুলিশ গাড়ি আটকায়। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়ি আটকানোয় হাসপাতালের সুপার আসেন ঘটনাস্থলে। প্রায় একঘণ্টা পর উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের হস্তক্ষেপে গাড়িটিকে জরিমানা করে ছাড়া হয়।
সামনে বড় বড় করে লেখা, বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালের গাড়ি। অক্সিজেন সিলিন্ডার অন ডিউটি। গাড়ির মধ্যে রয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডারও। তা সত্ত্বেও, সরকারি হাসপাতালের জরুরি পরিষেবায় যুক্ত, এই গাড়ি আটকে চালককে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল এক ট্রাফিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে।
ঘটনা ঘিরে শুক্রবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের তালপুকুর মোড়। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতাল থেকে ছুটে আসতে হয় সুপারকে। বিএন বসু হাসপাতালের গাড়িতে লেখা এসেনসিয়াল সার্ভিস। তবুও আটকানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সিলিন্ডার রিফিল করতে, উলুবেড়িয়া অক্সিজেন প্লান্টে যাচ্ছিল এই গাড়িটি। তেল ভরার জন্য, তালপুকুর মোড়ে সেটি পেট্রোল পাম্পে ঢুকতে যায়। পুলিশের অভিযোগ, ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করে গাড়িটি রাস্তা পেরোয়। তখনই, আটকানো হয় গাড়িটিকে। জরিমানা করা হয়। আটক করা হয় চালককে।
জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়ি আটকানোর খবর পেয়ে, তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যান হাসপাতালের সুপার। কথা বলেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। অশান্তির খবর পেয়ে চলে আসেন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরাও। ব্যারাকপুরের বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালের সুপার সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন,বিএন বসু হাসপাতালে, কোভিড রোগীদের চিকিত্সা চলছে। গাড়ি আটকানোয়, অক্সিজেনের ঘাটতির সমস্যা হতে পারে। এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশ দুর্যোধন ঘোষ বলেন, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে পুলিশ গাড়ি আটকায়। প্রায় একঘণ্টা পর উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের হস্তক্ষেপে গাড়িটিকে ছাড়া হয়। তবে পুলিশ এই ঘটনার সাফাই দিলেও, এভাবে হাসপাতালের গাড়ি আটকানোয় বিতর্ক তৈরি হয়েছে।