শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের পর এখনও অব্যাহত জেলায় জেলায় বিক্ষোভ। উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল নিয়ে অসন্তুষ্ট কোচবিহারের লালবাহাদুর শাস্ত্রী হাইস্কুলের ছাত্ররা। নম্বর বৃদ্ধির দাবিতে শুক্রবার ভেটাগুড়িতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। এমনকী সহকারী প্রধান শিক্ষকের ঘরে তালা লাগিয়েও স্লোগান দিতে দেখা যায় ছাত্রদের।
অভিযোগ, নম্বর কম পাওয়ার বিষয়টি জানার পরেও কোনও পদক্ষেপ করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগকারী ছাত্র পরমেশ্বর বর্মণ বলেন, আমরা খুবই কম নম্বর পেয়েছি। আমরা স্কুলে আগেও জানিয়েছি। কোনও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে পথ অবরোধ করেছি। সহকারী প্রধান শিক্ষককে তালা মেরে রাখতে বাধ্য হই। ঘণ্টাখানেক পরে দিনহাটা থানার পুলিশ গিয়ে তালা খুলে উদ্ধার করে সহকারী প্রধান শিক্ষককে।
লালবাহাদুর শাস্ত্রী বিদ্যাপীঠের সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রাণকৃষ্ণ বর্মণ, “ছাত্ররা আমার কাছে এসে নম্বর কম হওয়ার অভিযোগ করে। খাতা দেখাতে বলে। আমরা খাতা পাঠিয়ে দিয়েছি, কীভাবে দেখাব। ওরা আমায় ঘণ্টাখানেক তালা মেরে রাখে। আমি বলেছি, লিখিত অভিযোগ জানাও, সোমবার সংসদে জানাব।” সংসদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত এবিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে আশ্বস্ত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট না পেয়ে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। আসানসোলের সালানপুরের আছড়া যজ্ঞেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ। অভিযোগ, ১৩৭ জন পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন ফর্ম সংসদে জমা দেয়নি স্কুল। যার ফলে অন্যরা মার্কশিট পেলেও তাঁরা পাননি বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে পথ অবরোধ করে পড়ুয়ারা। সমস্যা সমাধানের চেষ্টার আশ্বাস স্কুল কর্তৃপক্ষের। ১০ দিনের মধ্যে মার্কশিট দিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে স্কুল।
এই ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। আজ এই বিক্ষোভের পর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় ওই স্কুলে। ওই বৈঠকে ছিলেন প্রধান শিক্ষক সহ পরিচালন সমিতির সদস্যরা। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে। ছাত্রছাত্রীদের যাতে এক বছর নষ্ট না হয়, তাও দেখা হবে বলে আশ্বাস কর্তৃপক্ষের। একইসঙ্গে ১০ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান হবে বলে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। সহকারী স্কুল পরিদর্শক সংহিতা দাস বলেন, ২৫৭ জনের মধ্যে ১৩৮ জন পরীক্ষার্থীর মার্কশিট আসেনি। কী করে এই ঘটনা হল খতিয়ে দেখছি। গোটা ঘটনার তদন্ত হবে। এভাবে ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে দেওয়া যায় না।