গোপাল চট্টোপাধ্যায়, লাভপুর: টানা বৃষ্টির ফলে আজ ভোর রাতে বীরভূমের লাভপুরের ইন্দাস গ্রামে একটি মাটির চালাঘর ভেঙে চাপা পড়েন পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের মধ্যে দুজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁদেরকে সিয়ান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


নিম্নচাপের বৃষ্টিতে বোলপুর থেকে সিউড়ি, সর্বত্র জল-যন্ত্রণার ছবি। টানা বৃষ্টির ফলে জলমগ্ন বোলপুরে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড। সকাল থেকেই চলছে বৃষ্টি।  ফলে সবথেকে বেশি জলমগ্ন হয়েছে বোলপুর পৌরসভার ৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ড। অঞ্চলের রাস্তাগুলিও জলের তলায় চলে গিয়েছে। ফলে চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।


অনেক কলেজ পড়ুয়া থাকেন সেখানে। তাঁদেরও রুমে জল ঢুকে গেছে। তাঁরা বলেন, একটু বৃষ্টিতেই জল জমে যায় রাস্তাগুলিতে। দেখলে মনে হবে কোন নদীতে দাঁড়িয়ে আছি। 


জল অতি দ্রুত কীভাবে নামানো যায় এলাকায় গিয়ে সেই চেষ্টা চালাচ্ছেন ওয়ার্ডের নিকাশির দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। এদিকে শাল নদীর সেতুর উপর দিয়ে জল বয়ে যাওয়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দুবরাজপুরের সঙ্গে খয়রাশোলের। প্রবল দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। প্রবল বৃষ্টিতে বীরভূমের সিউড়ি থানার রেঙ্গুনি গ্রামে রাস্তা নদীতে পরিণত হয়েছে। 


জলমগ্ন পশ্চিম থেকে পূর্ব বর্ধমানও। লাগাতার বৃষ্টিতে শুক্রবার সকালেই দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া শুরু হয়। সেচ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ৫২ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। 


এদিকে রাতভর বৃষ্টিতে উপচে পড়ছে পশ্চিম বর্ধমানের টুমনি নদী। কাঁকসার শিবপুরের রাস্তায় ভাসাপুলে জল ডিঙিয়েই চলছে ঝুঁকির পারাপার। 


বেশ কিছু জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছ। বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আসানসোলের ১৭ ও ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড। সম্পূর্ণ জলমগ্ন কুলটির একাংশ। কার্যত গৃহবন্দি মানুষ। আসানসোলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ব্যাহত বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবা। 


পূর্ব বর্ধমানে একদিকে মুষলধারে বৃষ্টি,  অন্যদিকে ডিভিসির ছাড়া জলে বিপর্যস্ত বর্ধমান শহর।  ফুলে ফেঁপে উঠেছে বাঁকা নদী। বাঁধ উপচে বহু জায়গাতেই জল ঢুকেছে বাড়িতেও।