ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: শীতলকুচি গুলিকাণ্ডে এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ জওয়ানকে তলব করল সিআইডি। দোসরা অগাস্ট জওয়ানদের ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সিআইডি সূত্রে খবর, কার নির্দেশে কেন বুথ লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় তা জানতে চাওয়া হবে।


মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি রেঞ্জের ডিআইজিকে জিজ্ঞাসাবাদ। শুক্রবার প্রশ্নের মুখে কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিশ সুপার। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ জওয়ানকে তলব। শীতলকুচি গুলিকাণ্ডের তদন্তে তৎপরতা বাড়াচ্ছে সিআইডি। সূত্রের খবর,  আগামী ২ অগাস্ট ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ জওয়ানকে। গুলিকাণ্ডে যাবতীয় তথ্য জানতে নথি-সহ তলব করা হয়েছে।


সিআইডি সূত্রে খবর, তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হবে, ওই দিন কে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন? কারা সশস্ত্র অবস্থায় ছিলেন? কোন ধরনের অস্ত্র ছিল? কেন বুথ লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় এবং কারা চালিয়েছিলেন গুলি? ঘটনার সময় কার কোথায় ডিউটি ছিল এবং কার নির্দেশে হয় ডিউটি বণ্টন? তথ্য নথিসমেত কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে জানতে চাওয়া হবে বলে সিআইডি সূত্রে খবর।


মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি রেঞ্জের ডিআইজি আনাপ্পা ই-কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁর অফিসে যান সিআইডির আধিকারিকরা। রেকর্ড করা হয় বয়ান। এরপর শুক্রবার ফের তলব করা হয় কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে। সূত্রের খবর, প্রায় ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। জলপাইগুড়ি রেঞ্জের ডিআইজির সঙ্গে কোচবিহারের প্রাক্তন এসপির বয়ান যাচাই করা হয়। ঘটনার আগে ও পরে তৎকালীন পুলিশ সুপার কাদের সঙ্গে কথা বলেন, জানতে চাওয়া হয়।গুলি চলার দিন কাদের ফোন পুলিশকর্তার কাছে আসে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে খতিয়ে দেখা হয়েছে দেবাশিস ধরের কল রেকর্ড।


সূত্রের দাবি, তাতে বেশ কিছু অসঙ্গতি পান গোয়েন্দারা। সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে দেবাশিস ধরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিছু দিন আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই জওয়ানদের তলব কর হলেও, তাঁরা হাজিরা দেননি। জওয়ানরা ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন জানালেও, সিআইডি তা খারিজ করে দেয়।