গোপাল চট্টোপাধ্যায়, রামপুরহাট (বীরভূম) : পূর্ব বর্ধমানের ভাতার, কেতুগ্রামের পর এবার বীরভূমের রামপুরহাট। ফের বিস্ফোরণ রাজ্যে। আর বাতাসে এভাবে বারুদের গন্ধ বাড়তে থাকায় বাড়ছে আতঙ্কও। বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের এনে বোমা বাঁধা হচ্ছিল, তখনই বিস্ফোরণ বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। এবারের বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ২ জন। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তবে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।
শুক্রবার রাতে বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে রামপুরহাটের বনহাট পঞ্চায়েতের কালিকাপুর গ্রাম। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাশাপাশি এই দু’টি বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। সেখানেই হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ২ জন আহত বলে গ্রামবাসীদের দাবি। বিস্ফোরণের ঘটনায় উঠে আসছে রাহান শেখ নামে এক ব্যক্তির নাম। অভিযোগ, রাহানের নেতৃত্বেই বোমা বাঁধার কাজ করছিল বহিরাগত দুষ্কৃতীরা। রামপুরহাটের কালিকাপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, 'রাহান বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসেছিল। বোম বাঁধছিল। তখনই ব্লাস্ট হয়। পুলিশ এসেছিল। কিন্তু এখান থেকে কাউকে পায়নি। সব চলে গেছিল তো।'
মূল অভিযুক্ত রাহান শেখের রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই বিস্ফোরণকাণ্ড ঘিরে রাজনীতি তুঙ্গে। রামপুরহাটের বনহাট পঞ্চায়েতের প্রধান ও তৃণমূল নেতা জহরুল ইসলাম বলেছেন, 'আমরা পুলিশকে জানিয়েছি, চাই সঠিক তদন্ত হোক। কেন বোমা বাঁধা হচ্ছিল, সেটা যেন জানা যায়। রাহান শেখ আগে বগডিতে থাকত, এখন বনহাটে এসে ছিল। কী করে জানি না।' অপরদিকে, বীরভূমের বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গ সন্ত্রাসবাদীদের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। বারুদের স্তূপে দাঁড়িয়ে আছে। সবই শাসকদলের কাজ। একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করার জন্য করা হচ্ছে।'
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে এক সন্দেহভাজনকে। মূল অভিযুক্ত রাহান শেখ ও সঙ্গীদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কগ্রস্থ স্থানীয়দের আশ্বস্ত করার কাজও চালানো হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।