শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারে তৃণমূল নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের পৈতৃক বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও গুলি চলার ঘটনায় কেউ আহত হননি। 


কোচবিহারের জীরানপুর এলাকায় পার্থপ্রতিমের পৈত্রিক বাড়ি। সেখানে যদিও এদিন ছিলেন না তিনি। তিনি কোচবিহারের রানীবাগানে তাঁর অন্য একটি বাড়িতে ছিলেন। ঘটনার সময় জীরানপুরের বাড়িতে ছিলেন পার্থপ্রতিমের অসুস্থ বাবা, মা। অভিযোগ, রবিবার দুপুরে আচমকাই একটি মারুতি ভ্যান এসে তাঁদের বাড়ির সামনে দাঁড়ায়। সেই ভ্যানে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী ছিল। তাঁরা পার্থ প্রতিমের বাড়িতে আচমকাই ঢুকে পড়েন। দরজায় ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢোকেন দুষ্কৃতীরা। মোট ৫-৬ জন দুষ্কৃতী ছিল বলে জানা গিয়েছে। অতর্কিত এরকম আক্রমণে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পার্থপ্রতিমের মা- বাবা। তবে তাঁরা বাইরে বেরিয়ে এলেও কাউকে দেখতে পাননি। 


ঘটনার খবর পেয়েই বাড়িতে চলে আসেন পার্থপ্রতিম রায়। তাঁর বাড়িতে পৌঁছোয় কোতোয়ালি থানার পুলিশও। উদ্ধার হয়েছে একটি গুলির খোল। সূত্রের খবর, কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছে জীরানপুরে। এর জেরে গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়েও ভাঙচুর করা হয়েছে কিছুদিন আগে। সেই ঘটনারই রেশ কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পার্থপ্রতিম জানিয়েছেন, 'আমি ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলাম না। আমার অসুস্থ বাবা- মা ছিলেন। তাঁরা ঘটনায় খুব আতঙ্কিত হয়ে গিয়েছেন। আমি পুরো ঘটনা পুলিশকে জানিয়েছি। কে বা কারা ঘটনা ঘটিয়েছে জানি না।'


এদিকে দিনে দুপুরে এভাবে তৃণমূল নেতার বাড়িতে গুলি চলার ঘটনায় বিজেপি পালটা বিঁধেছে তৃণমূলকে। বিজেপির জেলা সভানেত্রী ও তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতী রাভা রায় বলেন, 'তৃণমূলের জেলা সভাপতির বাড়িতেই ভরদুপুরে এভাবে গুলি চলার ঘটনা হচ্ছে। এর থেকেই পরিষ্কার যে এলাকায় তৃণমূলের সন্ত্রাস কীভাবে বেড়ে চলেছে। এটা পুরোটাই তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের প্রমাণ। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।'