কলকাতা: শুক্রবারই রাজ্যে আসছে করোনা ভ্যাকসিন। রাজ্যকে চিঠি দিয়ে একথা জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু, কোন ভ্যাকসিন? অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড? না ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন? তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে। কত পরিমাণে ভ্যাকসিন আসবে, সেই বিষয়েও কিছু জানানো হয়নি।
জানা গিয়েছে, করোনা ভ্যাকসিন বাগবাজারে স্বাস্থ্য দফতরের স্টোরে রাখা হবে। পরে, সেখান থেকে ভ্যাকসিন পাঠানো হবে জেলায় জেলায়।
আর যেদিন, করোনা ভ্যাকসিন আসছে, সেদিনই সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যজুড়ে হবে করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাই রান। এর আগে গত শনিবার রাজ্যের তিন জায়গায় ড্রাই রান হয়েছে। এবার সেই মহড়া হবে রাজ্যের প্রতিটি জেলায়।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি জেলায় তিনটি করে কেন্দ্রে হবে ড্রাই রান। জেলার মেডিক্যাল কলেজগুলি ছাড়াও আরও দুটি কেন্দ্রে চলবে টিকাকরণের মহড়া।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, শুক্রবার কলকাতার সব মেডিক্যাল কলেজে হবে ড্রাই রান। এছাড়াও কলকাতা পুরসভার ২৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ক্লিনিকেও হবে মহড়া।
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের অন্যান্য সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাশিত অঞ্চলেও শুক্রবার হবে ভ্যাকসিনের ড্রাই রান। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেছেন, সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাশিত অঞ্চলে ড্রাই রান। ১.৭ লক্ষ ভ্যাকসিনেটর ও ৩ লক্ষ টিম প্রস্তুত রয়েছে।
ড্রাই রানের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।কীভাবে করা হবে ড্রাই রান, তা বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের। পাশাপাশি, জেলায় জেলায় যে সব ভ্যাকসিন স্টোর রয়েছে, তার সরঞ্জামও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, প্রথম দফায় স্বাস্থ্যকর্মী ও করোনা যোদ্ধাদের ভ্যাকাসনি দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে কাদের এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে কাদের ভ্যাকসিন সেই নিয়ে বিস্তারিত জানান হর্ষবর্ধন। তাঁর দাবি, কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন দুটোই সমান কার্যকর।
আগামী সপ্তাহ থেকে দেশজুড়ে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার মতো পরিকাঠামো তৈরি বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, কবে আসবে ভ্যাকসিন?