কলকাতা: মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে করোনা মোকাবিলা নিয়ে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘মানুষের জন্য কাজ করব বলেছিলাম, কাজ চলবে।’
কোভিড মোকাবিলাকেওই যে সরকার সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে, তা এদিন ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘কোভিড মোকাবিলাতেই এখন অগ্রাধিকার। কোভিড হাসপাতালে জন্য একটা বিল্ডিং দিচ্ছে সেন্ট জেভিয়ার্স।’ একইসঙ্গে, কোভিড-যুদ্ধে সাধারণ মানুষের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করলেন তিনি।
অন্যদিকে, কেন্দ্রের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান, ‘কোভিড-পরিকাঠামো তৈরি করতে গেলে যেন জিএসটি না নেওয়া হয়।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দেশের ৬৫ শতাংশ ভ্যাকসিন বাইরে গেলে, অন্য দেশ থেকে আনাতে হবে। ‘কোথা থেকে ভ্যাকসিন আনানো হবে, কেন্দ্র ঠিক করুক। এ জন্য সুস্পষ্ট নীতির দরকার।’
লকডাউন নিয়েও মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘একদম লকডাউন না করে, লকডাউনের মতো কড়া বিধি দরকার।’ তিনি জানিয়ে রাখেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ১ কোটি ভ্যাকসিন দেবে রাজ্য। একইসঙ্গে ফের জানিয়ে দেন, রাজ্যের সকলকে ‘রাজ্যের সবাইকে নিখরচায় ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।’
সামনেই ইদ। কোভিড পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, ‘ইদে ৫০ জনের মধ্যে জমায়েত করুন।’
সোমবার কোভিড পরিস্থিতিতে সংক্ষিপ্ততম শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সকাল পৌনে ১১টায় শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় মন্ত্রিসভার ৪৩ জন সদস্য।
মাত্র ৬ মিনিটের সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে শপথগ্রহণ করলেন ২৪ জন পূর্ণমন্ত্রী, ১০ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ও ৯ প্রতিমন্ত্রী। অসুস্থ থাকায় ভার্চুয়ালি শপথ নেন অমিত মিত্র। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ভার্চুয়ালি শপথ নিয়েছেন ব্রাত্য বসু ও রথীন ঘোষ।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর নবান্নে নবনিযুক্ত মন্ত্রীদের নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে মন্ত্রীদের দফতর বণ্টন হয়।
স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য় দফতর নিজের হাতেই রেখে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন ও তথ্য-সংস্কৃতি সহ একাধিক মন্ত্রকের দায়িত্বে মমতা।
মন্ত্রিসভার হেভিওয়েটদের মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় পেলেন শিল্প, বাণিজ্য, তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক। সুব্রত মুখোপাধ্যায় পেলেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন এবং শিল্প পুনর্গঠন। তবে, এবছর শিক্ষা দফতর পেলেন ব্রাত্য বসু। অমিত মিত্র পেলেন অর্থ, পরিকল্পনা ও সংখ্যতত্ত্ব।