সুমন ঘড়াই, কলকাতা: রাজনৈতিক উত্তাপ থেকে তাপমাত্রার পারদ, সবই ঊর্ধ্বমুখী। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা। ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী কোভিড আক্রান্তের গ্রাফ। এই পরিস্থিতিতে, ভ্যাকসিনে জোর দেওয়ার কথা বলছে রাজ্য সরকার।
সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও ৪৫-ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন চালুর কথা ভাবা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। ভোটের মরসুমে রাজনৈতিক মিটিং-মিছিলে মানা হচ্ছে না করোনা বিধি। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
স্বাস্থ্য দফতরের মঙ্গলবারের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৬২৮। সোমবার সংখ্যাটা ছিল, ৬৩৯। রবিবার ছিল ৮২৭।
এইপ্রেক্ষিতে করোনা বধে ভ্যাকসিন ছাড়া অন্য কোনও উপায় দেখছেন না চিকিত্সকরা।
ভ্যাকসিনে গুরুত্বের পাশাপাশি, মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহারেও জোর দিচ্ছে সরকার। মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের কথাও ভাবা হচ্ছে।
অর্থাত্ কোনও বাড়ি বা ফ্ল্যাটের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে, সেই বাড়িটিকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি, আক্রান্ত ব্যক্তি কোথা থেকে সংক্রমিত হলেন, তারও উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন:
এদিকে, ভারতে করোনায় ফের বাড়ল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। গতকালের তুলনায় একদিনে মৃতের সংখ্যা বাড়ল ৩০ শতাংশ। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। বেড়েছে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। দৈনিক মৃত্যুতে দেশে প্রথম স্থানে মহারাষ্ট্র। ওই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৪৬৮ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩৩৫।
এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১৪ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩০১ জন।
আরও পড়ুন:
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৫৪ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৭১। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৪৮০। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৬ হাজার ২১১।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪১ হাজার ২৮০ জন। গতকাল দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার ২৮।