সাগর (মধ্যপ্রদেশ): করোনাকালে বন্ধ স্কুল। নিজের সাধের স্কুটারকেই স্কুলে-পরিণত করে তাক লাগিয়ে দিলেন মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার এই মাস্টারমশাই।
আর শুধু স্কুল নয়। একেবারে, স্কুটারের মধ্যেই ছোটাখাটো একটা গ্রন্থাগারও তৈরি করে ফলেছেন ওই শিক্ষক। করোনাকালে বহু স্কুল বন্ধ। বিশেষকরে গ্রামের পরিস্থিতি আরও খারাপ।
এমতাবস্থায়, নিজেই স্কুটার চালিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে যান চন্দ্র শ্রীবাস্তব। স্কুটারে লাগানো মাইক হাতে ছোট পড়ুয়াদের বিদ্যার পাঠ দিতে থাকেন মাস্টারমশাই।
প্রায়ই দেখা যায়, কোনও একটি গাছের ছায়ায় স্কুটারে লাগানো বোর্ডে ক্লাস নিচ্ছেন ওই শিক্ষক। কবিতার ক্লাসে ছাত্রছাত্রীরা সমবেতভাবে কবিতা-পাঠ করল। এরপর, মাইক হাতে তুলে নিয়ে সেই কবিতার মানেও ধৈর্য্যের সঙ্গে পড়ুয়াদের বুঝিয়ে দিলেন শিক্ষক।
এক অভিভাবক বললেন, শিক্ষক নিয়মিত ক্লাস নেন। মাস্টারমশাইকে তাঁরা এর জন্য জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছেন। স্কুটারে একদিকে ছোট গ্রিমবোর্ড। অন্যদিকে বই ও খাতা সমেত ছোটখাটো একটা গ্রন্থাগার তৈরি করেছেন চন্দ্র।
কিছু বই ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে দেওয়া হয়। বাকিগুলি এই শর্তে যে, সেগুলি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরত দিতে হবে। ষষ্ঠ শ্রেণির এক পড়ুয়া বলেন, মাস্টারমশাই এসে অঙ্ক সহ বিভিন্ন বিষয় পড়ান। করোনার জন্য তিনি এখানে এসে পড়াচ্ছেন।
খোদ শিক্ষকমশাই কী জানাচ্ছেন? তিনি বললেন, অধিকাংশ পড়ুয়ারা অতি দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে। অনলাইন শিক্ষা তাদের সাধ্যের বাইরে। কারণ, স্মার্টভফোন কেনা তাদের সাধ্যের বাইরে। এছাড়া, অনেক জায়গায় নেটওয়ার্ক যোগাযোগই নেই। আমি প্রথমে ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড করে ওদের শেখাতাম। পরে, স্কুটারের একদিকে গ্রিনবোর্ড ও অন্যদিকে বই রেখে পড়াতে শুরু করি।