সন্দীপ সরকার ও ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: করোনার সংক্রমণ কাটিয়ে ওঠার এক-দেড় সপ্তাহের মধ্যেই ফের দেখা যাচ্ছে জ্বর-সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ! তাহলে কি নতুন কোনও জটিলতা তৈরি করছে কোভিড? এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চিকিত্‍সকদের।


এক সপ্তাহ ধরে রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর সংখ্যা ৩০-এর ওপরেই রয়েছে।  এর পাশাপাশি আরও যে জিনিসটি চিকিত্‍সকদের ভাবাচ্ছে, তা হল, করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে ওঠার পর, এক-দেড় সপ্তাহের মধ্যে ফের জ্বর-সর্দি-কাশির মতো উপসর্গগুলির ফিরে আসা!


চিকিত্‍সক শুদ্ধসত্ত্ব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "এটা সেকেন্ডারি ইনফেকশন। এইবারের কোভিড লাঙে গিয়ে প্যাচ তৈরি করছে না। একটা সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশন হচ্ছে। তার জন্যই জ্বরটা আসছে।" করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল, কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে, সেরে উঠতে সময় বেশি লাগছিল। এমনকি অনেককে সেরে উঠলেও, ফের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। 


করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই সংখ্যাটা আরও বেড়েছে। সংক্রমণ কাটিয়ে ওঠার পর শ্বাসকষ্ট, চোখে জ্বালা, পেট খারাপের মতো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা দিয়েছে অনেকের। কিন্তু তৃতীয় ঢেউয়ের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, করোনামুক্ত হওয়ার এক-দেড় সপ্তাহ পর ফের জ্বর আসছে, বেড়ে যাচ্ছে সর্দি-কাশি। 


কিন্তু কেন বারবার ফিরে আসছে উপসর্গ? তাহলে কি নতুন কোনও জটিলতা তৈরি করে দিচ্ছে কোভিড? চিকিত্‍সক ধীমান গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "জ্বর যদি হয় তার কারণ ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন। একটা ভাইরাল ইনফেকশনের পর এটা কমন। অন্য উপসর্গ যদি দেখা যায় তাহলে উদ্বেগের।" চিকিত্‍সক সৌগত ঘোষ বলেন, "রি ইনফেকশন না বলে, সিমটেমিটক রিল্যাপস বলতে পারি। সিমটমপ কেন পারসিস্ট করছে, এর সঙ্গে প্রতিরোধ ক্ষমতার কি রিলশন গবেষণা সাপেক্ষ।" 


তবে চিকিত্‍সকদের একাংশ বলছেন, এনিয়ে এখনই উদ্বেগের কিছু নেই। তবে সংক্রমণ কাটিয়ে ওঠার পর ফের উপসর্গ দেখা দিলে, দ্রুত চিকিত্‍সকের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।