ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সেই সঙ্গে ভিড় বাড়ছে হাসপাতালগুলিতে। সরকারি ও বেসরকারি, সব হাসপাতালেই এক অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনেশন ও সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।
করোনা আছে!কিন্তু, ভয়-সতর্কতা সব কর্পুরের মতো উবে গেছে! ফলস্বরূপ, প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ! গত এক সপ্তাহে, কলকাতার সব হাসপাতালেই ভিড় বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের।
এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে করোনা বেডের সংখ্যা ৪৪১। সেখানে ভর্তি রয়েছেন ২২৩ জন রোগী।কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ৩০০টি বেডের মধ্যে, ১৬২টিতে রোগী ভর্তি রয়েছেন।
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ১৬৫টি বেডের মধ্যে রোগী ভর্তি রয়েছেন ৭৬টিতে। একই পরিস্থিতি বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও। ৩ এপ্রিলের হিসেব অনুযায়ী, ঢাকুরিয়া আমরিতে ৪৬টি কোভিড বেডের একটিও খালি নেই। বেলভিউ হাসপাতালে করোনার বেড রয়েছে ৩৩টি। মেডিকা হাসপাতালে ৬১টি।
পিয়ারলেস হাসপাতালে ৪০টি। যার একটিও খালি নেই। উডল্যান্ডস হাসপাতালের ৫২টি কোভিড বেডের মধ্যে মাত্র ৭টি খালি রয়েছে।
আর, অ্যাপেলো হাসপাতালের ৫৬টি বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১৮টি। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কাজলকৃষ্ণ বণিক বলেন, ‘‘সেরো সার্ভেতে দেখা গেছে ২৫ শতাংশ আক্রান্ত, তাহলে ৭৫% মানুষ সংক্রমিত হতে পারেন, মানুষ কেন সতর্ক হচ্ছে না, এটাই প্রশ্ন। এখন টেস্টিং কম হচ্ছে, আরও টেস্টিং করতে হবে।’’
করোনার গ্রাফ বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সব সরকারি হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে কোভিড চিকিৎসা পরিকাঠামো আরও মজবুত করা হচ্ছে। কোভিড বেডের সংখ্যা বাড়ানো এবং অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক রাখতে বলা হয়েছে।
ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও করোনার সংক্রমণ। সংক্রমিত হলেন চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী। কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ নেওয়া সত্বেও করোনা আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন এসএসকেএম-এর গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজি বিভাগের প্রধান।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আমাদের মত করে প্রস্তুতি নিচ্ছি। শহর ও শহরতলিতে ভ্যাকসিনেশন বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু, মানুষ কোভিড আক্রান্ত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মাস্ক পড়ছেন না, ভিড়ের মধ্যে যাচ্ছেন। সবারই সতর্ক থাকা উচিত।