চুঁচুড়া: ভয়ে পালিয়ে যাওয়া কাপুরুষ এজেন্টদের বদলে বুথে বুথে মহিলাদের পোলিং এজেন্ট করার বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। সোমবার চুঁচুড়ার জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, ‘যারা ভয়ে পালিয়ে যান, তাদের আমি মহাপুরুষ বলি না। তাদের আমি কাপুরুষ বলি। সেরকম দেখে করবার দরকার নেই। সেরকম হলে না থাকলে, কন্যাশ্রীকে করে দাও, বঙ্গজননীকে করে দাও। মেয়েদের করে দাও। মেয়েরা লড়ে নেবে।’
দ্বিতীয় দফায় ভোটের দিন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো যে কেন্দ্রে লড়ছেন সেই নন্দীগ্রামে একাধিক বুথে তৃণমূল কংগ্রেস এজেন্ট দিতে সমস্যায় পড়েছিল বলে খবর এসেছিল। বয়ালের স্কুলের বুথে তৃণমূল এজেন্টের না বসা ও তারপর বিজেপির হাতে মার খাওয়ার ভয়ে তাঁর মায়ের কান্না আলোড়ন ফেলেছিল রাজ্যজুড়ে। রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যে বুথে গিয়ে ঘণ্টা দুয়েক বসে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের সভা থেকে সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপি কিছু বললে যদি মনে করেন কেঁদে ফেলবেন, তাহলে তাঁর এজেন্ট হওয়ার দরকার নেই। আগে থেকে বলে দিন এজেন্ট হবেন না। নন্দীগ্রামে দেখেছি মেরে নাক-টাক ফাটিয়ে, তবে এজেন্ট আমি হলে আমাকে বুথে বসতেই হবে, মেরে ফেললেও আমি উঠব না, দেখতে চাই আমায় কী করবে, এই মানসিকতা নিয়ে বসতে হবে। নন্দীগ্রামে অনেক অত্যাচার করেছে। তাই ওখানে বসে ছিলাম।‘
মহিলাদের আগে-ভাগে খুন্তি-হাতা নিয়ে ‘রুখে দাঁড়ানোর’ বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে প্রয়োজনে সমস্যা-অত্যাচারের ভিডিও তুলে সেটা ভাইরাল করে দেওয়ার বার্তা দিয়ে চুঁচুড়ার জনসভা থেকে মমতা বলেন, ‘ইলেকশনের আগে যদি বাড়ি বাড়ি গিয়ে অত্যাচার করলে মেয়েরা জোট বাঁধবেন। উলুধ্বনি-শঙ্খধ্বনি দেবেন। যেই অত্যাচার করবে, ভিডিও তুলবেন, তুলে ওটা ভাইরাল করে দেবেন। ভয় দেখানোটা ওদের কায়দা, ভয় পাবেন না। ওরা জানে জিতবে না, তাই ভয় দেখাচ্ছে।‘ তৃণমূল সুপ্রিমোর যে আক্রমণের রেশ বজায় ছিল চণ্ডীতলা, কোন্নগরের সভাতেও।