কলকাতা: করোনা-কালে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চোখে পড়ছে রোগীদের ভিড়। ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য প্রত্যেক জায়গা লম্বা লাইন।
এমন এক সময়ে ২ দিন আগেই কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুই সরকারি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যদিও, তাতে কোনও প্রাণবানির ঘটনা ঘটেনি, কিন্তু ক্ষণিকের জন্য হলেও ওই দুই ঘটনায় ছড়ায় আতঙ্ক। এই ধরনের ঘটনা এড়াতেই এবার উদ্যোগী স্বাস্থ্য দফতর। সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলিকে সতর্ক থাকতে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
বুধবার জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনা আবহে প্রতিটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। আগুন লাগার মতো ঘটনা ঘটলে বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সমস্ত সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলোতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। এরপর রিপোর্ট পাঠাতে হবে স্বাস্থ্য দফতরে। সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের সুপার ও বিভিন্ন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
গত মঙ্গলবার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে প্রথমে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের জেনারেটর রুমে গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লাগে। ঘর থেকে সিলিন্ডার বের করার পরই বিস্ফোরণ ঘটে। সূত্রের খবর, জেনারেটর রুমে ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা রান্না করছিলেন। সেখান থেকেই আগুন লাগে। সেই সময় তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল। ফলে জেনারেটর রুম থেকে বের করে আনা সিলিন্ডার থেকে আগুন ছড়াতে পারেনি।
ওইদিন বিকেলেই এম আর বাঙুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালের দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুল্যান্সে আচমকা আগুন লেগে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে অ্যাম্বুল্যান্স। আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের একটি সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সেও।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, আইসিইউ-র সুবিধা যুক্ত ওই অ্যাম্বুল্যান্স থেকে রোগী নামানোর পরই তাতে আগুন লেগে যায়। হাসপাতালের কর্মীরাই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের দুটি ইঞ্জিন।
যান্ত্রিক ত্রুটির জেরেই আইসিইউ অ্যাম্বুল্যান্সটিতে আগুন লাগে বলে অনুমান দমকলের।