সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: ইটাহারে জাতীয় সড়ক অবরোধ করোনা আক্রান্তদের। পানীয় জল ও খাবারের অব্যবস্থার প্রতিবাদে কোয়ারেন্টিন সেন্টার থেকে বেরিয়ে পথ অবরোধ করেন করোনা আক্রান্তরা। পুলিশের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তোলা হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকা করোনা আক্রান্তরা।


মঙ্গলবার খাবার-দাবারের মান এবং পানীয় জলের দাবিতে করোনা আক্রান্তরা ইটাহার গোটলু মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতির উন্নতির আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন আন্দোলনকারীরা।


জানা গেছে ইটাহার থানার গোঠলু গ্রামে হোমগার্ড ট্রেনিং সেন্টারকে করোনা কোয়ারাইন্টাইন সেন্টার তৈরী করছে জেলা স্বাস্থ্যদফতর। এই সেন্টারে ৪৫ জন করোনা আক্রান্ত আছেন। অভিযোগ স্বাস্থ্য দফতরের নির্ধারিত খাদ্য তালিকায় যা যা আছে তার কোন কিছুই এই সেন্টারে মানা হচ্ছে না। এমনকি পানীয় জলের ব্যবস্থাও খুবই খারাপ। স্বাস্থ্য দফতর  করোনা রোগীদের অবহেলা করছে বলে অভিযোগ।


এই অবহেলার প্রতিবাদে ইটাহার থানার গোঠলু মোড় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন করোনা আক্রান্তরা। মহিলারাও এই অবরোধে সামিল হন। রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। দ্রুত গোঠলু কোয়ারাইন্টাইন সেন্টারে হাল ফেরানোর আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার হয়। আগামীকালের মধ্যে অবস্থার উন্নতি না হলে আগামীকাল থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবার হুমকিও দিয়েছেন করোনা আক্রান্তরা।


এমনিতেই গোটা রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে রোজ বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৯২ জন। রেকর্ড গড়েছে দৈনিক মৃ্ত্যুর সংখ্যাও। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬৮ জনের। শুধুমাত্র কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ৭ হাজার। 


এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে বেড সমস্যা হয়ে উঠছে চিন্তার কারণ। সংক্রমণের রেশ বাড়ার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেড়ের প্রয়োজনীয়তা। এর মাঝেই অল্প উপসর্গ থাকা রোগীদের রাখা হচ্ছে কোয়ারেন্টিন সেন্টার ও সেফ হোম গুলিতে।