কলকাতা: কোভিড আবহে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের সময় নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। প্রতি শিফটের ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া হল কাজের সময়। সপ্তাহে ২-৩ দিন ছুটি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। 


করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে ছারখার হচ্ছে দেশ। দিনে দিনে সাড়ে তিন লক্ষের দিকে এগোচ্ছে মৃতের সংখ্যা।  এরইমধ্যে আশার আলো বলতে দিনে দিনে দেশে কমছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। 


সোমবার দেশে নতুন করোনা পজিটিভ কেসের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৫১০। গত দু’মাসে এটাই সর্বনিম্ন দৈনিক করোনা সংক্রমণ। 


একইসঙ্গে, রাজ্যেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী। রাজ্য সরকারের সোমবারের হেল্থ বুলেটিন অনুযায়ী,  গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১৩৭ জন। মোট সংক্রমিত ১৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩৭৭। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৩১ জনের। মৃতের সংখ্যা সাড়ে ১৫ হাজার। 


সংক্রমণ-মৃত্যুতে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে আক্রান্ত ২ হাজার ৩৭৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত ১ হাজার ৩২৪।  মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। 


কিন্তু, চিকিৎ‍সকরা বলছেন, এখনও এটা বলার সময় আসেনি, যে করোনার ওপর পুরোপুরি লাগাম কষা সম্ভব হয়েছে। আর দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত ভারতকে সামলাতে, লাগাতার যুদ্ধ করে চলেছেন অসংখ্য চিকিৎ‍সক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী।


এই আবহে এবার চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের সময় নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। সেখানে বলা হয়েছে, দিনের বেলার শিফট ৮ ঘণ্টার বেশি হবে না। রাতের শিফট হতে হবে ৬-৭ ঘণ্টার। এর মধ্যে এক ঘন্টা থাকবে দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন ছুটি নিশ্চিত করতে হবে। 


কিন্তু, রাজ্যে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা সীমিত। করোনা আবহে প্রচুর বেড়েছে কাজের চাপ। এই অবস্থায় চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের সময় কমানো বা সপ্তাহে ২-৩ দিন ছুটি দেওয়া আদৌ কতটা সম্ভব, সেই প্রশ্নেরও উত্তর রয়েছে নির্দেশিকায়। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়েছে, কর্মীর অপ্রতুলতা মেটাতে নিয়োগ করা হচ্ছে।