ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: করোনার প্রভাব কাজু-বাদাম শিল্পে। পূর্ব মেদিনীপুরে কাজু বাদাম ফ্যাক্টরিগুলোয় ব্যাপক লোকসান। কাঁথি মহকুমায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৯০০টি কারখানা। কর্মহীন প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক।
দিঘা থেকে মাজনা। কাঠপুল থেকে দেপাল।পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমার বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে কাজু বাদামের কারখানা। এখানকার অধিকাংশ মানুষের জীবিকা এর ওপরেই নির্ভরশীল।জেলা জুড়ে রয়েছে হাজারেরও বেশি কাজু বাদামের ফ্যাক্টরি। কাজু বাদামের খোসা ছাড়িয়ে, প্যাকেটজাত হয়ে তা বিক্রি করা হয় বাজারে। কিন্তু, করোনা-শঙ্কার ছায়া সেই শিল্পে।
সূত্রের খব র, ৯০০-র ওপর কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কাজ হারিয়েছেন প্রায়, ৩০ হাজার মানুষ।


কাজুবাজামের কারখানার কর্মী বলেছেন, করোনার প্রভাবে গত এক মাস ধরে বন্ধ আমাদের ফ্যাক্টরি । একদিকে বাইরের দেশ থেকে কাজু আসছে না আর এখান থেকে তৈরি হওয়া কাজু বাইরে যাচ্ছে না । তাছাড়াও হল ঘরের মধ্যে একসঙ্গে বসে আমরা অনেকেই কাজ করতাম । সেক্ষেত্রেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা । আমরা প্রতিদিন ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা রোজগার এখান থেকে । কাজ বন্ধ। কবে খুলবে জানিনা ?

শুধু রাজ্যের বাজারই নয়, এখানকার কাজুবাদাম রপ্তানি হত বিদেশের বাজারেও। কিন্তু, নোভেল করোনা ভাইরাস সতর্কতায় সেই বাণিজ্য এখন শিকেয়। ফলে চরম দুর্দশায় দিন কাটছে কাজ হারানো শ্রমিক পরিবারগুলির।
কাঁথির কাজুবাজামের কারখানার এক কর্মী জানিয়েছেন,আমি এখন বেকার। কারণ কারখানা বন্ধ । আমি এখান থেকে তৈরি হওয়া কাজু নিয়ে বিভিন্ন বাজারে পৌঁছে দিতাম ।কারখানা এক মাস ধরে বন্ধ। তাই আমার আর কাজ নেই।
কাঁথি কাজু অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মির্জা খলিল বেগ বলেছেন, আমরা প্রথম লোকসানে পড়েছিলাম নোট বন্দির সময় ।তারপরে জিএসটি চালু হওয়াতে দেখা দেয় সমস্যা ।সেই সঙ্গে সঙ্গে আমাদের উপর চাপে অতিরিক্ত করের বোঝা । তা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই করোনাভাইরাস । যার জেরে বাইরের দেশ থেকে কাজু আমদানি করা প্রসেসিং করে বিদেশের বাজারে রপ্তানি করা বন্ধ রয়েছে এখন । যার ফলে আমরা বাধ্য হয়েছি ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ করতে । কিন্তু কর্মচারীরা বারবার আসছে ফ্যাক্টরিতে । কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে জানিনা ।
কবে স্বাভাবিক হবে এই পরিস্থিতি, সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।