করুণাময় সিংহ, মালদা: ভাঙন রোখার কাজেও দুর্নীতির অভিযোগ। মন্ত্রীর সামনেই দুর্নীতির অভিযোগে সরব বাসিন্দারা। সোমবার মালদার সুখসেনা ঘাটে কাজ দেখতে যান সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। ঘটনায় তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। ভাঙন রোখার কাজেও দুর্নীতির অভিযোগ। সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে কাছে পেয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন বাসিন্দারা। 


আকাশে মেঘ জমলেই বুকে কাঁপন ধরে এই মানুষগুলোর মনে। ফি বছর বন্যায় যে চোখের সামনে ভেসে যায় সবকিছু। কয়েকদিন পরই দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করবে বর্ষা। তার আগে ফের একবার ভিটে ছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়েছে মালদার মানিকচকের ভূতনির চরের বাসিন্দাদের। 


এবার বর্ষার আগেই, সতর্ক প্রশাসন। ভূতনির চরের সুখসেনা ঘাট এলাকায় বালির বস্তা ফেলে ভাঙন-রোধের কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার কাজ দেখতে এলাকায় যান সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। মন্ত্রীর সামনেই দুর্নীতির অভিযোগে সরব হন বাসিন্দারা। 


ভূতনির বাসিন্দা তন্ময় মণ্ডলের কথায়, যেভাবে বালির বস্তা ফেলে কাজ হচ্ছে, ভাঙণ রোধ করা সম্ভব নয়, গঙ্গা সব ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। দুর্নীতি হচ্ছে কাজে। অন্যদিকে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভাঙন রোধের কাজে যুক্ত ঠিকা শ্রমিকরা। 


আনন্দ ঘোষ নামে এক ঠিকাদারের কথায়, নিম্নমানের কাজ হচ্ছে না, সিডিউল মেনেই কাজ হচ্ছে। ভূতনি এলাকায় কাজ করতে গেলে তোলা দিতে হয়। দুষ্কৃতীদের তোলা দিয়ে কাজ করতে হয়। 


ঘটনায় তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের কথায়, বাম জমানা থেকেই সেচ দফতর ঘুঘুর বাসা তৈরি হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী এ নিয়ে ক্ষুব্ধ। এলাকার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। প্রয়োজন কাজ নিয়ে তদন্ত করা হবে। কী ভাবে ২/১ জন ঠিকাদার কাজ পাচ্ছেন তা দেখছি । বিজেপির রাজ্য কমিটি সদস্য সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'গোটা বাংলারই একই অবস্থা, সব টাকা তো নেতার পকেটে।


আশ্বাস মিলেছে, কিন্তু শুধু আশ্বাসে যে চিঁড়ে ভেজে না সেকথা বিলক্ষণ জানেন এখানকার মানুষ। এখন প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়ার আশায় বাসিন্দারা।