শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: করোনা রোগীদের একঘেয়েমি কাটাতে ও মনোবল বাড়াতে কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অভিনব উদ্যোগ। কোভিড ওয়ার্ডে পিপিই পরে গানের তালে নাচলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। রোগীদের আনন্দ দিতে তাতে সামিল হলেন খোদ সহকারী সুপার।


এই ভিডিও কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের। সেখানে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদের মনোবল বাড়াতে, বুধবার বিকেলে গানের তালে নাচলেন চিকিৎসক ও নার্সরা। সাত স্বাস্থ্যকর্মীর পারফরম্যান্স দেখে কেউ দিলেন হাততালি। কেউ আবার অক্সিজেনের নল লাগানো অবস্থাতেই ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলেন সেই মনোরঞ্জনপর্ব।


কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল নার্স সুলগ্না ভট্টাচার্য বলেন, রোগীরা তো দীর্ঘদিন ধরে পরিবার পরিজন ছেড়ে হাসপাতালে, তাঁদের একঘেয়েমি কাটাতে, মনোবল বাড়াতে আমাদের এই উদ্যোগ। চিকিৎসার সঙ্গে নাচে-গানে কোভিড রোগীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় থেকেই করে আসছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। বুধবার কোচবিহারের হাসপাতালে করোনা রোগীদের মধ্যে আনন্দ সঞ্চারিত করতে, নাচের তালে পা মেলান খোদ সহকারী সুপার। কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সহকারী সুপার দীপ্তেন্দু দাস বলেন, রোগীরা দীর্ঘদিন হাসপাতালে। পাশেও আক্রান্ত রোগী। অনেক সময় মনোবল ভেঙে পড়ে। বুস্টআপ করতেই আমাদের ছোট্ট প্রয়াস।


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল দেশ। হারিয়ে গিয়েছে চেনা ছন্দ। দিকে দিকে হাহাকারের ছবি। স্বজন হারানোর কান্না দেশজুড়ে। এরই মধ্যে দেখা গিয়েছে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর খবর। কোথাও মৃত্যুর পরে দেহ ভাসছে নদীতে। এমন ছবিও উঠে এসেছে। আর এই পরিস্থিতিতে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে দিন রাত এক করে কর্তব্য পালন করে চলেছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা। সম্প্রতি সিলেটি গানের তালে পিপিই কিট পরে নেচে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলেন আসানসোলের নার্স ইন্দ্রাণী দত্ত। তাঁরও উদ্দেশ্য ছিল পরিবার পরিজন থেকে দূরে থাকা করোনা রোগীদের আনন্দ দেওয়া। পিপিই পরে ঘর্মাক্ত অবস্থায় কাজের প্রচণ্ড চাপের মধ্যেও এই প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সবাই।