বিটন চক্রবর্তী, কোলাঘাট: পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে ভ্যাকসিনকান্ডের পর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের বদলির নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক। চক্রান্তের শিকার হয়েছেন, দাবি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের। রুটিন বদলি, দাবি জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের। আর এই বদলি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
গত ৫ই জুলাই কোলাঘাটের পাইকপাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে টাকার বিনিময়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় বিক্ষোভ চলে। এমনকী, বিডিওর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরের দিনও হাতে টাকা নিয়ে বিক্ষোভ অবরোধ চলে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শিবশঙ্কর খানের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। অবশেষে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে তদন্তও শুরু হয়। ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্মীকে শোকজও করা হয়। তদন্ত রিপোর্ট ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে জমাও পড়েছে।
এরই মাঝে বুধবার কোলাঘাটের স্বাস্থ্য আধিকারিক শিবশঙ্কর খানের বদলির নির্দেশ এসেছে। তাঁকে কোচবিহারে বদলি করা হয়েছে। তবে কী কারণে এই বদলি, সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন শিবশঙ্করবাবু। তিনি মনে করছেন, কয়েকদিন আগে কোলাঘাটে ভ্যাকসিন নিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে, এর জেরেই তাঁর ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছে। কারও ইগোর কারণে তিনি চক্রান্তের শিকার হয়েছেন বলে দাবি শিবশঙ্করবাবুর। তবে বিএমওএইচের বদলি রুটিন বদলি বলে জানিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায়। তিনি বদলির পিছনে চক্রান্ত বা অন্য কোনও কারণ রয়েছে বলে মানতে নারাজ।
এদিকে, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের বদলি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ভ্যাকসিনকাণ্ডের পিছনে শাসক দলের নেতারা আর স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাল্টা বিজেপির দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। জেলা তৃণমূল মুখপাত্র তাপস মাইতির কটাক্ষ, বিজেপি শুধু অভিযোগ না করে কেন্দ্রীয় সরকারকে বলে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের ব্যাবস্থা করুক। তাহলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কম হবে।