রানা দাস, মঙ্গলকোট: মঙ্গলকোটে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার তৃণমূল নেতা-সহ ২। ধৃত সাবুল শেখ তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সহ সভাপতি। গতকাল বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তৃণমূল নেতা সাবুল শেখ ও তাঁর সঙ্গী তৃণমূল সামু শেখের নাম উঠে আসে। ২ জনকে আটক করে শুরু জিজ্ঞাসাবাদ। বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় ওই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে তৃণমূল নেতার পরিবার অভিযোগ করে, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুনের ঘটনা ঘটেছে। যদিও অনুব্রত মণ্ডল গতকাল নিহতের বাড়ি যাওয়ার পর, খুনের ঘটনায় দলীয়-যোগ অস্বীকার করে মৃত তৃণমূল নেতার পরিবার।  


সোমবার ভরসন্ধেয়, মঙ্গলকোটের কাশেমনগরে গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূল নেতা অসীম দাসকে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, একটিমাত্র গুলি চালানো হয়। হৃদপিণ্ড ফুঁড়ে ঢুকে যায় সেই গুলি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সুপারি কিলার দিয়েই খুন করা হয় তৃণমূল নেতাকে। খুনের নেপথ্যে রয়েছে পরিচিত কেউ।  আততায়ীর নিশানা দেখে, পুলিশের অনুমান, এক্সপার্ট কাউকে সুপারি দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল নেতাকে যেভাবে টার্গেট করা হয়েছিল, তাতে খুব পরিচিত কেউ এই কাজে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে এমনটাই ধারণা ছিল তদন্তকারী আধিকারিকদের।


খুনের ঘটনার তদন্তে গঠিত হয়েছে সিট। ৫ সদস্যের টিমে রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। কাটোয়ার এসডিপিও। মঙ্গকোটের আইসি সহ আরও দুই পুলিশ আধিকারিক। পুলিশ সূত্রে খবর, আজ বৃহস্পতিবার, ঘটনাস্থলে যেতে পারে ফরেন্সিক টিম। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খুনের ঘটনায়, মঙ্গলবারই দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ তোলে পরিবার। আর বুধবার সেই অভিযোগ খারিজ করে দিলেন আত্মীয়রাই। মৃত তৃণমূল নেতার দিদি তাপসী সরকার মঙ্গলবার বলেন, “আমায় আগেই বলেছিল, তৃণমূলের একটা অংশ ভাইকে সরাতে চাইছে। সিন্ডিকেট, কয়লা, গরু পাচারের প্রতিবাদ করাতেই ভাইকে খুন করা হয়েছে। পুরোটাই তৃণমূলের লোকেরা করেছে।“ বুধবার মৃতের বাড়িতে যান মঙ্গলকোটর দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। কথা বলেন পরিজনদের সঙ্গে।