অভিজিৎ চৌধুরী, হরিশ্চন্দ্রপুর: তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে সরব দলীয় নেতা-কর্মীদের একাংশ। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল। বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতে উন্নয়নমূলক কাজে কাটমানি নেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের প্রধান ও উপ প্রধান দুর্নীতিতে জড়িত বলে অভিযোগ জানিয়ে বিডিও-র দ্বারস্থ হয়েছেন দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল উপ প্রধান। দলীয় স্তরে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব।  দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে আসায় তৃণমূলকে কাটমানি-সরকার বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।


তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে বেশ কয়েকটি রাস্তা নির্মাণের টেন্ডার করেছে। তার মধ্যে বেশির ভাগ রাস্তার কাজ শুরু হয়নি। যেগুলি কাজ হয়েছে সেগুলি অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি হয়েছে। ওভার এস্টিমেট করে রাস্তার বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি। ইতিমধ্যে আলো নষ্ট হতে শুরু করেছে বলো অভিযোগ। যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ভালুকা অঞ্চল সভাপতি প্রদীপ মহালদার বলেন,"ভালুকা পঞ্চায়েত মারাত্মক দুর্নীতি হচ্ছে। রাস্তা তৈরি, হাই মাসলাইট, এন-আর-জি-এস এর কাজ নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে। ২ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে। প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েতের কর্মীরা সকলেই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। এজন্য আমরা বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলাম। জেলাশাসককে জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও লিখিতভাবে অভিযোগ পাঠাবো।"


যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন  ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মজিবুর রহমান। তিনি বলেন,"সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। পঞ্চায়েতের কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে। যারা অভিযোগ করছে তাঁরা ভোটের সময় বিজেপি করে। ভোট শেষ হলেই তারা তৃণমূল হয়ে যায়।“ এই আবহে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির মালদা জেলা সম্পাদক কিষাণ কেডিয়া তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন,"তৃণমূল দলটাই কাটমানির দল। নিজেরাই নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে। দুর্নীতিতে ভর্তি। মানুষ এখন বুঝবে মানুষ কাদের ভোট দিয়েছে।" অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কল্লোল দাস।